বাংলায় নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা? আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ করে Toolkit নিয়ে আসরে BJP ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি করে নির্যাতিতা মৃতা চিকিৎসকের সুবিচার ও দোষীর শাস্তির দাবির আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি? বাংলায় অস্তিরতা তৈরি করতে তারা Toolkit নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে, এমনই অভিযোগ উঠছে।
উদ্দেশ্য একটাই বাংলার সরকারকে ফেলা দেওয়া! বিজেপি কৌশলে মানুষের আন্দোলনের দখল নিয়ে নিয়েছে। “Mamata Must Resign” ট্রেন্ড চালানো হচ্ছে, নানান বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে।
সিবিআই, পাঁচ দিন হল তদন্তভার হাতে নিয়েছে কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবুও সিবিআইয়ের কাছে জবাবদিহি চেয়ে সমাজ মাধ্যমে কোনও প্রতিবাদের ঢেউ নেই। কোনও বিক্ষোভ নেই, কোনও পোস্ট নেই সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলকাতার রাজপথে বিচারের দাবিতে জনতার সঙ্গত আন্দোলনের দখল নিয়েছে বিজেপি ও বিজেপির যুব মোর্চার ক্যাডাররা, পরিণত করেছে রাজনৈতিক আন্দোলনে। তাদের একটাই লক্ষ্য, সরকারকে নাকানিচোবানি খাওয়ানো।
সিবিআই কেসের তদন্তভার নেওয়ার পর ১৫ আগস্ট থেকে বিজেপির আইটি সেল “Mamata Must Resign” হ্যাসট্যাগ ট্রেন্ড করানো আরম্ভ করে। দেখা যাচ্ছে, আম জনতা, প্রতিবাদীরা ওই হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করছেন না। বিজেপি এবং হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন হ্যান্ডেল থেকে ওই হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট করানো হচ্ছে। যা প্রমাণ করে এটা বিজেপির সংগঠিত কর্মসূচি। চার দিনে দু’লক্ষের বেশি পোস্ট হয়েছে ওই হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে। রিচ প্রায় ৯১ মিলিয়ন, স্বাভাবিকভাবে এমনটা হওয়া কার্যত অসম্ভব।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ব্যবহার করেছে বিজেপি। ৪৫ শতাংশ পোস্ট করা হয়েছে মার্কিন মুলুক থেকে। রাশিয়া, এরিট্রেয়া, নাইজেরিয়া, কলম্বিয়া, সুরিনাম ইত্যাদি দেশ থেকে পোস্ট করানো হয়েছে। এগুলো যাবতীয় পেড পোস্ট অর্থাৎ পয়সার বিনিয়মে করা। অন্যদিকে, পাঁচ দিন যাবৎ মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে সিবিআই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বাংলার মাটিতে রাজনৈতিক সুবিধা পেতেই কি বিজেপি ও সিপিএম এক সঙ্গে রাজ্যের বিরুদ্ধে কুৎসা ও মিথ্যা প্রচারে নেমেছে? জনতার আবেগকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক জমি শক্ত করছে বিরোধীরা?