রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রোগীদের প্রাণ বাঁচানোর ভার কাঁধে তুলে নিচ্ছেন সিনিয়র চিকিৎসক-নার্সরা

August 21, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সহকর্মীর খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজ্য যখন উত্তাল, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন-কর্মবিরতি, তখন ইমার্জেন্সিতে রোগীদের প্রাণ বাঁচানোর ভার কাঁধে নিয়ে বাড়ি না ফিরে রাত জাগছেন রাজ্যের বহু সিনিয়র চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী। এমন অসংখ্য উদাহরণ তৈরি করেছে পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।

একাধিক বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র চিকিৎসকরা এখন রাতে বাড়িই ফিরছেন না। কেউ লেবার রুমে, কেউ সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে (এসএনসিইউ), কেউ আবার ওটিতে রোগীদের বাঁচাতে ব্যস্ত। এখানকার শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ নেপাল মহাপাত্রের ‘অ্যাডমিশন ডে’ সোম ও বৃহস্পতিবার। কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া পিজিটি, ইন্টার্নরা রাতে না থাকায় সপ্তাহের বেশ কিছুদিন রাতে হাসপাতালেই থেকে যাচ্ছেন তিনি। একই পরিস্থিতি স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান ডাঃ পি কে বিশ্বাসের। মঙ্গলবার ‘অ্যাডমিশন ডে’ তাঁর। বাড়ি ফিরছেন না ওইদিন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রেফারেল হাসপাতাল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। সুন্দরবন, বাসন্তী, গোসাবা, ক্যানিং সহ প্রভৃতি জায়গার গরিব, নিম্নবিত্ত মানুষের শেষ ভরসা বলতে এই ন্যাশনাল। অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা মা, কিশোরীদের সমস্যায় জেরবার এই জেলা। ‘ওদের আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে। কিন্তু, আমরাও যদিও রোগী দেখা বন্ধ করে দিই, তাহেল এই মানুষগুলি কোথায় যাবেন বলতে পারেন?’ রবিবার একথা বলছিলেন শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ মহাপাত্র। বললেন, ‘শুধু এক-দু’জন নয়, ন্যাশনালের রাতজাগা টিমে নার্স, সার্ভিস পিজিটি, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রাণ বাঁচাতে লড়ে যাচ্ছেন সকলেই।’

স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগে সন্তান হওয়ার পর শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে পাঠানো হয় এসএনসিইউতে। এই মুহূর্তে ৪৬ শয্যার এসএনসিইউতে একটি বেডও খালি নেই। ‘রাত না জাগলে এদের দেখবে কে? জন্ডিস, সেপটিসেমিয়া সহ প্রাণঘাতী সমস্যায় জর্জরিত তারা। আমরাও আন্দোলন করলে এদের দেখবে কে?’ বলছেন সিনিয়ররা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #patients, #doctors, #senior doctors

আরো দেখুন