রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ মুড়ে ফেলা হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের বাকি মেডিক্যালগুলিতে। নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাজ্যের সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজ মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজারের বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। কিছু মেডিক্যাল কলেজ ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা দিতে যা আছে, তাছাড়া আরও পাঁচশো-সাড়ে পাঁচশো সিসি ক্যামেরা লাগানোরও দাবি জানিয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ও অন্য শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে এমন দাবি শুনে মাথায় হাত স্বাস্থ্যকর্তাদের।
আর জি কর কাণ্ডের পর নিরাপত্তাব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে সোমবার শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা কলেজগুলির কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে আর জি কর চায় ২০০টি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ১৮০টি, রামপুরহাট ১৭০টি, এনআরএস ৪১০টি, বাঁকুড়া সম্মিলনীর কর্তারা পাঁচশোরও বেশি এমন করে সিসি ক্যামেরা চাইতেই থাকেন। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের কর্তারা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল রয়েছে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকার চকমণ্ডলায়। ওখানে অনেকগুলি সিসি ক্যামেরা দিতেই হবে। সিসি ক্যামেরার চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে দেখে একটা সময় এক শীর্ষকর্তা বলেই ফেলেন, ‘এইসব কী হচ্ছে? মজা নাকি? এমন চলতে থাকলে তো প্রত্যেকেরই জন্য এক-একটা করে সিসি ক্যামেরা দিতে হবে!’
সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি কলেজের সব সেমিনার রুমেই বসবে সিসি ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরা ছাড়াও কোথায় কত নিরাপত্তারক্ষী দরকার, তা নিয়েও সেদিন আলোচনা হয়েছে। আরও প্রায় দেড় হাজার নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য। স্বাস্থ্যদপ্তরের এই উদ্যোগ নিয়ে কী বলছেন আন্দোলনকারীরা?