সুবিচারের দাবি আন্দোলন নয়, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের ছক পদ্ম পার্টির?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদী সামাজিক আন্দোলনের দখল নিতে মরিয়া বিজেপি, দিল্লি থেকে তেমনই নির্দেশ এসেছে বঙ্গ বিজেপির কাছে। জুনিয়র ডাক্তার, সমাজকর্মী, শিল্পী-সাহিত্যিক-সহ আন্দোলনকারী বিভিন্ন অংশের কাছে বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে ছোট, বড়, মাঝারি গেরুয়া নেতারা বারবার আর্জি জানিয়েছেন, ‘একবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিন, বাকিটা বিজেপির উপর ছেড়ে দিন।’ বিজেপির ডাকে সাড়া দেয়নি কেউ। এবার ‘ছদ্মনামে’ আসরে নামল গেরুয়া শিবির। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের আড়ালে ২৭ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী দলনেতার ঘোষণা, ছাত্রদের আহ্বানে ওই কর্মসূচিতে ব্যক্তিগতভাবে তিনি হাজির হবেন। মূল এজেন্ডা স্পষ্ট হয়েছে শুভেন্দুর বক্তব্যেই। ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি পোষিত ছোটখাটো মাধ্যমগুলিও। নবান্ন অভিযানের নামে গত ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পুনরাবৃত্তির গেরুয়া-প্ল্যান কষা হয়েছে, ব্যাপক হাঙ্গামা, ভাঙচুর, অবরোধের পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটির এক ডেরা ও মধ্য কলকাতার এক আস্তানায় বৈঠকও হয়েছে, এমনই খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। প্রশ্ন উঠছে, কোনওরকম অশান্তি তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে না তো? প্রশাসন উদ্বিগ্ন।
এই ছাত্র সমাজ কারা? সব স্তর থেকে খোঁজ চলছে। ইউজিসি নেট পরীক্ষার দিন, ছাত্র সমাজের নামে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার উদ্যোগ নিচ্ছে কারা, জানতে মুখিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে, ছাত্র পরিষদের নবনিযুক্ত সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বা ডিএসওর রাজ্য সভাপতি মণিশঙ্কর পট্টনায়েক কেউই জানেন না, কারা ডাক দিল নবান্ন অভিযানের। ছাত্র সংগঠনগুলির নেতা-নেত্রীদের মতে, ইউজিসি নেট পরীক্ষার দিন যারা ছাত্র সমাজের নামে কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাদের উদ্দেশ্যটা আর যাই হোক, প্রতিবাদ আন্দোলন কখনওই নয়। আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনিরুদ্ধ সরকারের কথায়, তাঁদের কর্মসূচি নয়, তবে নৈতিক সমর্থন রয়েছে। সবাইকে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছেন।