থানের স্কুলে দুই শিশুর যৌন নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে মাহারাষ্ট্র বনধের ডাক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: থানের দুই শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের ঘটনায় একের পর এক অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের জনতা। মঙ্গলবার চলে রেলপথে নেমে অবরোধ, স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পুলিসকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস কোনওকিছুই আটকাতে পারেনি সেই জনরোষকে। কাজে দেয়নি মহারাষ্ট্রের বিজেপি জোট সরকারের ‘ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি’। বুধবারও উত্তপ্ত বদলাপুর। পরিস্থিতির সামাল দিতে বুধবার শহরজুড়ে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিক্ষোভকারী ৭২ জনকে। এদিকে, এই নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২৪ আগস্ট ‘মহারাষ্ট্র বনধে’র ডাক দিয়েছে বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ি।
মঙ্গলবার বদলাপুর স্টেশনে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে চলে রেল অবরোধ। পরিস্থিতির সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিস। জবাবে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা। আর তখনই জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। এর জেরে বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি জখম হন ১৭ জন পুলিস কর্মী ও আটজন রেল পুলিস। এই ঘটনায় ৭২ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি প্রায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এনিয়ে বদলাপুরের ডিসিপি সুধাকর পাথারে জানান, দাঙ্গা বাঁধানো, ভাঙচুর সহ নানা অপরাধে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ন্যক্করজনক ঘটনায় এফআইআর দায়েরে যেখানে তিনদিন লেগেছে, সেখানে জনরোষ মোকাবিলায় এভাবেই তৎপর হয়েছে পুলিস প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি কড়া পদক্ষেপের ব্যাপারে পুলিসের এই অতি সক্রিয়তায় প্রশ্ন উঠেছে।
সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত এলাকায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। শহরের নানা প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস। এদিন এলাকার অধিকাংশ স্কুলও বন্ধ ছিল। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে দুই খুদে পড়ুয়ার যৌন নিগ্রহ ও প্রশাসনের গাফিলতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অ্যাখা দিয়েছেন।