আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ছবি-ভিডিও অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৈদ্যুতিন এবং সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আরজি কর হাসপাতালে নিহত তরুণী চিকিৎসকের নাম, পরিচয়, ছবি, ভিডিও অবিলম্বে সরিয়ে দিতে বুধবার বিকেলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই নির্দেশ না মানলে তা প্রথমত আদালত অবমাননা হবে। তারই পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রক।
আর জি কর কাণ্ডে ধর্ষণ-খুনের শিকার তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। মেয়েটির ছবি প্রকাশ্যে আসা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন কিন্নরী ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টেরই পুরনো এক মামলার ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৭২(১)তেও এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। তাই সামাজিক মাধ্যম থেকে নিগৃহীতার ছবি, ভিডিও সরিয়ে দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আর্জিকে হাতিয়ার করে এদিন চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছে নয়াদিল্লির এইমস (অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউ অব মেডিকেল সায়েন্সেস)। হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করা যাবে না বলে কয়েকদিন আগে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। তাতেও থামানো যায়নি কর্মবিরতি। তাই এবার সুপ্রিম কোর্টও ডাক্তারদের কাজে ফেরানোর অনুরোধ করায় একই সুর প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর এম শ্রীনিবাসের গলাতেও। আর জি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় ১৪ সদস্যের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ডাঃ শ্রীনিবাস সেই কমিটির অন্যতম সদস্য।
এইমসের ছাত্র, শিক্ষক, ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে মনে রাখতে হবে চিকিৎসকদের প্রকৃত কাজই হল রোগীর সেবা করা। তাঁরা যাতে কোনওভাবেই চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটা দেখাই আমাদের কর্তব্য। তাই প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা স্বাভাবিক করতে অনুরোধ করছি কাজে ফিরুন।’ এইমসের চিকিৎসকদের উদ্বেগের বিষয়গুলির সমাধানে ২০ সদস্যের একটি কমিটি গড়ার কথাও জানান তিনি। নয়াদিল্লির মূল হাসপাতালের পাশাপাশি হরিয়ানার ঝজ্জর, বল্লভগড়, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ ক্যাম্পাসেও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরও অবশ্য আর জি করের ঘটনার বিচার চেয়ে কর্মবিরতিতে অনড় চিকিৎসকদের একাংশ।