রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আরজি কর কাণ্ডে পলিগ্রাফ টেস্ট সন্দীপ ঘোষ-সহ ৬ জনের

August 23, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষের গোপন জবানবন্দি নিল আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে আসা হয় আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষকে। কড়া নিরাপত্তা ছিল তাঁর জন্য। এর পর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন সন্দীপবাবু।

সেদিনের ঘটনা নিয়ে কী জানেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ, তা আদালতকে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানায় সিবিআই। কবে তা হবে, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। ঘটনার রাতে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে রাতে তাঁর যে সহকর্মীরা খাওয়াদাওয়া করেছিলেন, তাঁদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদেরও জবানবন্দি নেওয়া হয় এদিন। সিবিআইয়ের তরফে ওই চারজনেরও পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানিয়েছে। তা মঞ্জুর করেছে আদালত। পলিগ্রাফ টেস্ট হবে ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গী সৌরভের।

তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে জুনিয়র ডাক্তাররা রাতের খাবার খেয়েছিলেন, তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। তদন্তকারীরা জানতে চান, কোথা থেকে খাবার এসেছিল। সকলেই জানান, অন লাইনে অর্ডার করা হয়েছিল। প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা করে খাবার রিসিভ করেন। তরুণী চিকিৎসকও নিজেই খাবার ডেডিভারি নিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্তকারীদের প্রশ্ন, সত্যিই কি তরুণী খাবার নিয়েছিলেন? নাকি অন্য কেউ রিসিভ করেছিল? ওই সময় খাবারে কিছু স্প্রে করা হয়নি তো? ডিনারের অল্প সময়ের মধ্যে ওই তরুণী এত গভীর ঘুমে গেলেন কীভাবে? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সিবিআইকে। শুধুই ক্লান্তি থেকে এই ঘুম সম্ভব? কেমিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তা জানা যাবে।

এজেন্সি জেনেছে, খাওয়ার পর সকলেই সেমিনার হল ছেড়ে বেরিয়ে যান। এজেন্সির কাছে জুনিয়র ডাক্তাররা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, দিদি একাই বিশ্রাম করছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করার পর তিনি ক্লান্ত। এই উত্তরে অবশ্য সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। অফিসাররা জানতে চান, কেউ একা থাকতে চাইলে কি অন্য দিনও বাকিরা বিশ্রাম না নিয়ে তাঁকে এভাবে একা ঘর ছেড়ে দেন? সকলেই একবাক্যে জানান, এটাই হয়ে থাকে। ডাক্তারদের জন্য আলাদা রুম থাকার পরেও সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকরা কেন বিশ্রাম নেন? সিবিআইয়ের এই প্রশ্নে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল, তাঁরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দু’জায়গাতেই ঘুমাতে যান। সেদিন অবশ্য ‘দিদি’কেই গোটা ঘর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতে ধন্দ বাড়ছে অফিসারদের। এমনকী, রাত দুটোয় এক চিকিৎসক ‘দিদি’র কাছে কনসাল্ট করে যান বলে দাবি করেছেন, তিনি আদৌ এসেছিলেন? নাকি অন্য কিছু দেখে ফিরে যান? এই প্রশ্নও তুলছে সিবিআই। একই প্রশ্ন থাকছে রাত তিনটে নাগাদ রিপোর্ট দেখাতে আসা এক জুনিয়র ডাক্তারের বয়ানে। সিবিআই প্রশ্ন তুলছে, তরুণীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখেই কি ফিরে যান তিনি? ততক্ষণে তরুণীর মৃত্যু হয়নি তো? সিসি ক্যামেরা না থাকায় এর উত্তর মিলছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#sandeep ghosh, #rape and murder, #Kolkata, #Rg kar, #polygraph test

আরো দেখুন