কোনও অনুরোধে কাজ হচ্ছে না, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরতে এখনও নারাজ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরানোর জন্য বিভিন্ন মহলের তৎপরতা দেখে সাধারণ মানুষ মনে করেছিলেন, বরফ গলতে শুরু করেছে। শনিবার সকাল থেকেই হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পাবে হাসপাতালগুলি। হাইকোর্ট আবেদন করেছে একবার। সুপ্রিম কোর্ট দু’বার। আর রাজ্য সরকার তিনবার। চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেনি রাজ্যও। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এদিন দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য ফের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। ক্যান্সার ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা সবচেয়ে চিন্তার।’ তিনি পরে আরও জানান, ‘সন্দীপ ঘোষকে কোথাও ওএসডি করা হয়নি। তাঁকে একস্ট্রা অর্ডিনারি লিভে পাঠানো হয়েছে।’
শুক্রবার আর জি করের নতুন অধ্যক্ষ, সুপার ও উপাধ্যক্ষ, অ্যাডিশনাল সুপার সহ শীর্ষকর্তারা ৪০-৪৫ মিনিট বৈঠক করেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। বিকেলে ধর্নামঞ্চেই চলে আসেন নতুন সুপার ও উপাধ্যক্ষ ডাঃ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি সেখানে বলেন, ‘তোদের জন্য আমার ঘরের দরজা সবসময় খোলা আছে।’ তাঁর এহেন আন্তরিক আবেদনেও অবশ্য কোনও কাজ হয়নি।
এসবের মধ্যে ইমার্জেন্সি থেকে রোগী রেফার অব্যাহত ছিল এদিনও। তবে অসুখবিসুখে মানুষ কতটা নিরুপায় এবং মরিয়া হতে পারে, তা বোঝা গেল এদিন আর জি করের আউটডোরে রোগীর পরিসংখ্যান দেখে। এদিন ১১০০ রোগী এখানকার ওপিডিতে ডাক্তার দেখিয়েছেন। ভর্তি করা হয়েছে ৩৩ জনকে। ইমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসা পেয়েছেন চল্লিশের বেশি রোগী। প্রসূতি বিভাগের পাশে দাঁড়িয়ে রায়গাছির বাসিন্দা আবু হোরেবা বলছিলেন, ‘ডাক্তারদের দাবি ন্যায্য। প্রতিবাদ জারি রেখেই রোগী দেখতে শুরু করুন। নাহলে অনেক মানুষ স্রেফ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন। এবার কাজে ফিরলে উপরওয়ালার প্রচুর দোয়া পাবেন ডাক্তারবাবুরা।’ এত মানুষের ভোগান্তির পরও কেন আন্দোলন তোলা হচ্ছে না—এই প্রশ্ন ভুক্তভোগী প্রত্যেকের।