৩ মাসে শহরের ৫ রুটে মেট্রোর আয় বেড়ে ৮০ কোটি, অধরা যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতা শহরের পাঁচটি মেট্রো রুট থেকে তিন মাসে যাত্রী ভাড়া খাতে ৮০ কোটি টাকা আয় হল রেলের। দেশের প্রথম মেট্রো করিডর, কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর থেকেই সবচেয়ে বেশি লক্ষ্মীলাভ হয়েছে। যাত্রী সংখ্যা এই রুটেই সবচেয়ে বেশি। গত মে, জুন ও জুলাইয়ে কলকাতার পাঁচ-পাঁচটি মেট্রো লাইনে সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ যাত্রী সফর করেছেন। নর্থ-সাউথ রুটেই ৪ কোটি ৬০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
গত জুন ও জুলাই মাসে কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর লাইনে যাত্রী সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১ কোটি ৭০ লক্ষ এবং দেড় কোটি। তিন মাসে ভাড়া বাবদ ৮০ কোটি আদায় হলেও, যাত্রী পরিষেবার মান নিয়ে বাড়ছে অভিযোগ। এসি বিকল, ছাউনিহীন প্ল্যাটফর্মে বৃষ্টির জল, অকেজো ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, ঘোষণায় ত্রুটি সহ একাধিক যন্ত্রণা পোহান যাত্রীরা। কর্মী ঘাটতির জেরে বেশ কিছু স্টেশনে অধিকাংশ টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকে। সোম থেকে শুক্র, রাত ১০টা ৪০ মিনিটে নাইট সার্ভিস চলাকালীন যাত্রীদের জন্য কোনও কাউন্টার খোলা থাকে না। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে টোকেন বা স্মার্ট কার্ড কাটতে বাধ্য হন যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীই সেই ব্যবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্য নন। প্রশ্ন উঠছে, আয় বাড়লেও যাত্রীদের কেন অসুবিধায় ফেলছে মেট্রো রেল?
বাকি চার মেট্রো রুট হল শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড, জোকা থেকে মাঝেরহাট এবং কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের দু’টি রুটে যাত্রী হলেও, বাকি দু’টি রুট কার্যত মাছ তাড়ায়। গত মার্চে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সূচনা হওয়া দেশের প্রথম নদী তলদেশের মেট্রো রুটে গড়ে প্রতি মাস ১২ লক্ষ করে যাত্রী হচ্ছে। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী এই রুটটি ক্রমে আরও জনপ্রিয় হবে বলে আশাবাদী রেল। তাঁদের বক্তব্য, শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে অসমাপ্ত কাজ শেষ হলে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্যদিকে, মাসে ১১ লক্ষ যাত্রী শিয়ালদহ-সেক্টর ফাইভ মেট্রো রুট ব্যবহার করছেন। যদিও যাত্রীর আকাল রীতিমতো ভোগাচ্ছে জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো রুটকে। গড়ে প্রতি মাসে ১২ হাজার যাত্রী চলাচল করছে এই লাইনে। গত মার্চে তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশে মেট্রো পরিষেবা চালু হলেও যাত্রী খরা কাটছে না। যাত্রীর অভাবে ভুগছে শহরের নবতম রুট কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। এই রুটে যাত্রী সংখ্যা মাসে গড়ে ৩০ হাজার।