ভারতে এই প্রথম মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করল তিন বাঙালি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এই প্রথম ভারতে মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করল ৩ বাঙালি। দিল্লির ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির গবেষণাগারে মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী তন্ময় মজুমদার। ওই প্রতিষ্ঠানের সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট ল্যাবের প্রধান তন্মমবাবুর সহযোগী রয়েছেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকেশ কুণ্ডু।
১৪ আগস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন। ‘হু’য়ের দাবি, আফ্রিকা মহাদেশের গণ্ডি টপকে বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। এখন পর্যন্ত ১১৬ দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মৃত্যুর হার তিন শতাংশ। উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য মহল উদ্বিগ্ন। আর এমন সময়ই আশার আলো দেখিয়েছেন তিন বাঙালি বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের দাবি, ভারতে এই প্রথম মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনের ডিজাইন করা সম্ভব হল। মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস খুব দ্রুত মিউটেট করে নতুন স্টেইন তৈরি করে। তাই তাকে বাগে আনা বড্ড মুশকিল। তবে, এই ভ্যাকসিন তা করতে সমর্থ হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। শুধু তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে মানবদেহে এই ভ্যাকসিন প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলবে বলে বিজ্ঞানীদের দাবি।
বিজ্ঞানী মহলের দাবি, মূলত ভ্যাকসিন দু’টিকে স্মল পক্সের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে দীর্ঘ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে অক্ষম। বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে। ভারতেও প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। আর তাতেই মিলেছে অভাবনীয় সাফল্য। একটি সায়েন্স জার্নালে কয়েকদিন আগে ফলাও করে তন্ময়বাবুদের গবেষণার সাফল্য প্রকাশিত হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস ছ’টি মেজর গ্লাইকোপ্রোটিন নিয়ে গঠিত। সেই ছ’টি গ্লাইকোপ্রোটিনের এপিটোপকেই চিহ্নিত করে বাঙালি বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন ভ্যাকসিনটি। গবেষকদের দাবি, ভাইরাসের পাঁচটি এপিটোপ মিউটেট হয়ে রূপ বদল করলেও ছ’ নম্বর এপিটোপ দেখেই ভ্যাকসিনটি ভাইরাসকে চিহ্নিত করবে। পাশাপাশি মানবদেহে স্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে। তাঁদের ব্যাখ্যা, এক্ষেত্রে টিসেল লংটার্ম মেমোরি রেসপন্স করবে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন নেওয়ার বহু বছর পরও শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস ঢুকলে টি-সেল বি-সেল সক্রিয় করে এই ভাইরাসের অ্যান্টিজেন দমনে অ্যান্টিবডি তৈরি করে দেবে।