রাজনৈতিক সুবিধাবাদিদের প্রভাবে আন্দোলন গতিপথ হারাচ্ছে, ধর্ষণের মতো অপরাধে ফাঁসির দাবি দেবের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শহরে ফিরেই বাবার অসুস্থতার খবর পান। চলে যান হাসপাতালে। তারপর আর্টিস্ট ফোরামের ডাকা গণ অবস্থানে যোগ দেন দেব। অবস্থানের মঞ্চ থেকেই ধর্ষণের মতো অপরাধের কড়া শাস্তি চাইলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “যাঁরা ধর্ষণ করবে তাঁদের একটাই শাস্তি, ফাঁসি।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, “যা হয়েছে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা সবাই চাই, বাংলার প্রত্যেকটা মানুষ ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা মানুষ চাই যে যারা রেপিস্ট, যারা এর সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের সবার ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট দরকার। আজ থেকে নয়, দুই-আড়াই বছর আগে থেকে বলছি যে যতদিন না মানুষের মধ্যে ভয় হবে, যতদিন না মানুষ ভয় পাবে ততদিন এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে থাকবে। আমাদের এখনই ধর্ষকদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেওয়া শুরু করতেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আরজি করের ঘটনার পর প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এই ক’দিনে প্রায় ১৪০০ মতো ধর্ষণ হয়েছে। এত বড় একটা আন্দোলন হচ্ছে। অপরাধীদের ভয় লাগছে না? আমরা কোন দেশে বাস করছি?”
অভিনেতা মনে করেন রাজনৈতিক সুবিধাবাদিদের প্রভাবে মানুষের আন্দোলন গতিপথ হারাচ্ছে। তিনি চান, ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা মেয়ে যেন রাত দশটার পর নিশ্চিন্তে রাস্তায় বেরোতে পারে, তবেই আন্দোলনের সার্থকতা। দেব বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটাই কথা বলতে চাই। যদি রাজনৈতিক হয় তাহলে ১১ বছরে প্রথমবার রাজনৈতিকভাবেই বলছি যেই ভারত সরকার রাতারাতি নোটবন্দি নিয়ে আসতে পারে, যেই ভারত সরকার ৩৭০ আর্টিকেল দমন করতে পারে, যেই ভারত সরকার বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল সেখানে রামমন্দির করতে পারে, যেই ভারত সরকার দুহাজার টাকার নোট আবার ফিরিয়ে নিতে পারে… সেই ভারত সরকারের কাছে শুধু বাংলার ১০ কোটি নয়, ১৪০ কোটি মানুষের তরফ থেকে আমার অনুরোধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে রইল যে এখনই এমন একটা বিল পাশ করা উচিত সংসদে যেখানে কোনও ধর্ষণের অপরাধ যদি প্রমাণিত হয়ে যায় তাহলে তাকে এক মাসের মধ্যে ক্যাপিট্যাল পানিশমেন্ট দিতে হবে। তাহলেই দেশটা শুধরোবে।”