ভরা বর্ষায় চলছে দেদার ইলিশ পাচার!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রীতিমতো ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেছে বর্ষা, ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদী। চলছে দেদার ইলিশ পাচার। জোয়ারের সময় নদীর স্রোত থাকে ভারতের অভিমুখে। সেই সুযোগে কলার ভেলায় কচুরিপানা সাজিয়ে তার নীচে ইলিশে বেঁধে পাচার চালাচ্ছে পাচারকারীরা। জলের স্রোতের জোরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদে চলে আসছে কেজি কেজি ইলিশ। স্রোতকে কাজে লাগিয়ে সহজেই ইলিশ পাচার করছে ওপারের দুষ্কৃতীরা। মোটা টাকার মুনাফা করছে তারা। মুর্শিদাবাদের বাজারে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে পদ্মার ইলিশ।
বর্ষার মরশুমে সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে চলছে ইলিশ পাচার। এক-একটি মাছের জন্য বাংলাদেশের পাচারকারীদের গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হয়। মাছ দ্বিগুণ দামে বিক্রি করেন এপারের মাছ বিক্রেতারা। ভারতীয় মুদ্রায় মাছের দাম হাজার টাকা হওয়ায় বাংলাদেশের টাকায় প্রচুর মুনাফা হয় পাচারকারীদের। ইলিশের বিনিময়ে এপার থেকে চিনি, লঙ্কা ও গরু পাচার করা হয়। এক পেটি মাছের বিনিময়ে পাচারকারীরা একটি করে গরু পাচার করে দেয় বলেও জানান সীমান্তের গ্রামবাসীরা। সবটাই চলে বর্ষার রাতে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ইঙ্গিত ছিল, এবার ভারতে পাঠানো হবে না ইলিশ। উপদেষ্টার এহেন ঘোষণায় বাংলাদেশিরা খুশি হলেও, সে দেশের পাচারকারীরা ভ্রুক্ষেপ করছে না। তাদের বক্তব্য, স্থানীয় বাজারে এত দামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে না। তাই চোরাপথে ভারতে পাঠাতে হচ্ছে।
অতিবৃষ্টির জেরে বন্যায় দিশেহারা বাংলাদেশ, জলপথের নজরদারিও শিথিল হয়েছে। সেই সুযোগে ফের ইলিশ পাচার শুরু হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে, জলঙ্গি সীমান্তে নদীতে টহল দেওয়ার সময় বিএসএফ কলার ভেলা থেকে প্রচুর ইলিশ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় গরু ও মোষ। স্থানীয়রাও এই পাচারের কথা শিকার করছেন।