রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

২৭ তারিখ নবান্ন অভিযান বেআইনি, সাফ জানালেন রাজ্যের পুলিশ কর্তারা

August 26, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সুবিচারের দাবি ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, এর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। এই আবহে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, সুপ্রতীম সরকারের অভিযোগ; “বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সামনে রেখে কোনও কোনও মহল থেকে চক্রান্ত করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে, এই সংস্থার নাম এর আগে আমরা কখনও শুনিনি। শুরু থেকে বলা হচ্ছে এটা অরাজনৈতিক। এদের ফেসবুক পেজ থেকে কাদের ফলো করা হয় সেটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
বলা হচ্ছে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই দিন অর্থাৎ ২৭ তারিখ সর্বভারতীয় পরীক্ষা ইউজিসি নেট পরীক্ষা রয়েছে।‌ তাহলে আমরা বুঝতে পারছি না ছাত্র সমাজের নাম করে ছাত্রদের পরিপন্থী এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হল কেন। যারা ডাক দিয়েছেন তাদের একজন গতকাল কলকাতার একটি পাঁচ তারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিষয়টি আমরা আদালতের সামনে আনবো। আমরা খবর পাচ্ছি কালকের এই আন্দোলনের সময় কিছু দুষ্কৃতী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন। যারা কালকের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছেন, তাদের আমরা চিহ্নিত করনের চেষ্টা করছি। কোনও প্ররোচনায়, ফাঁদে পা দেবেন না। সবাইকে অনুরোধ করবো এই চক্রান্তে পা দেবেন না। দুটি সমাবেশ‌ই সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি।

তিনি আরও বলেন, “হাওড়া পুলিশের পক্ষ থেকে সংগঠকদের চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল আপনারা কতজন আসবেন, কত গাড়ি আসবে সব কিছু জানাতে। এটা জানানো আইনের মধ্যে পড়ে। নবান্ন ১৬৩ বিএস‌এস অর্থাৎ সিআরপিসি অনুযায়ী ১৪৪ ধারার মধ্যে পড়ে। ফলে নবান্ন বা তার সন্নিহিত এলাকায় ৫ জনের বেশি জমায়েত করা বেআইনি। সংগঠকরা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে কোনো অনুমতি প্রার্থনা করেননি। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আরজি কর কান্ডের প্রেক্ষিতে কোনও শান্তি পূর্ণ আন্দোলনকে পুলিশ বাঁধা দেবে না, কিন্তু আইনসম্মত বিধিনিষেধ রাজ্য কার্যকর করবে না, এমনটাও নয়।”

পরীক্ষা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “ইউজিসি নেট পরীক্ষার কারণে কাল পর্যাপ্ত পুলিশ রাস্তায় থাকবে। বিশেষ বাস থাকবে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করণের কাজ করছি। সময় মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এডিজি আইনশৃঙ্খলা, মনোজ ভার্মা বলেন; “বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা খবর পাচ্ছি ২৭ তারিখ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে কোনও একটা সংস্থা। তারা আমাদের কাছ থেকে এখনও কোনও অনুমতি নেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে, প্রশাসন তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে পারবে। নবান্ন একটা রেস্ট্রিকটেড এরিয়া। পুলিশর কাছে আবেদন করলে পুলিশ ঠিক করবে তারা অনুমতি দেবে কি না। এটা বেআইনি। যারা এই অভিযানের ডাক দিয়েছেন তারা যদি আমাদের কাছে আবেদন করেন তাহলে আমরা অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেব। অবশ্যই আইনগতভাবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন সোর্স থেকে যে ইনপুট আমাদের কাছে আছে তাতে আমাদের মনে হচ্ছে ২৭ তারিখের এই অভিযানের মধ্য দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায়। আপনারা জানেন ওইদিন পরীক্ষা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না-হয় তার জন্য আমরা ব্যবস্থা করব। সাধারন মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না-হয় তার জন্যেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যে তিনজন এই অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল হাওড়া পুলিশ, কিন্তু তারা এখনও পুলিশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। এমন কি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যারা এই অভিযানে যোগ দেবেন বলেছিলেন তারাও হাওড়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এটা বেআইনি অনুষ্ঠান। আমরা সাধারন মানুষকে বলবো আপনারা এই প্রোগ্রামকে এড়িয়ে যান।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#nabanna abhijan, #Illegal, #West Bengal, #Protest, #Nabanna

আরো দেখুন