৯০০টি সিসি ক্যামেরা, ড্রোন নজরদারি, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে প্রশাসনিক ভবন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অনুমতিহীন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা। নবান্নে ঢোকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সোমবার বিকেলেই লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সিল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার পুলিশ কমিশনারেট থেকে প্রচুর পুলিশকর্মী নিয়ে আসা হয়েছে। ৯০০টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারির পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবনকে নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলছে পুলিশ। নবান্নমুখী মূল চারটি প্রবেশপথকে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে। জিটি রোডের বঙ্গবাসী মোড়, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গ্যারেজ মোড়, আন্দুল রোডের লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং রামকৃষ্ণ ঘাট-ফোরশোর রোড ক্রসিংয়ে বসানো হয়েছে স্থায়ী ব্যারিকেড। সোমবার বিকেলে রাস্তা খুঁড়ে বড় বড় লোহার খুঁটি পোঁতা হয়। খুঁটিঝালাই করে তাতে লোহার ব্যারিকেড জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি নবান্ন সংলগ্ন শিবপুর, মন্দিরতলা, বেলেপোল, কাজিপাড়ার মতো এলাকাতেও গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে। মূল চার পয়েন্টে ২৫টি করে হাই রেজ্যুলেশনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় থাকা প্রায় ৮০০টি ক্যামেরার মাধ্যমেও দিনভর কন্ট্রোল রুমে বসে নজরদারি চালাবেন পুলিশকর্মীরা। নজরদারিতে থাকবে ৯০০টি ক্যামেরা।
সোমবার বিকেলে হাওড়ার শরৎ সদনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন পুলিশকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া কমিশনারেট ও রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ২১০০ পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হচ্ছে। সোমবার বিকেলের মধ্যেই হাওড়া সিটি ও গ্রামীণ পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট থেকে পুলিশকর্মী নিয়ে আসা হয়েছে হাওড়ায়। প্রতিটি পয়েন্টে থাকছে র্যাফ। বিশাল পুলিশ বাহিনীকে সামলাতে চারজন এডিজি, ১৩ জন ডিআইজি ও ১৫ জন এসপি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। পাশাপাশি, নবান্নে ঢোকার চারটে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একটি করে জলকামান মজুত রাখা হবে বলে খবর। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশও তৎপর। ১৬ নং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচলা মোড়, উলুবেড়িয়া নরেন্দ্র মোড়, বাগনান লাইব্রেরি মোড়, আমতা মোড় সহ একাধিক মোড়ে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।