‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-র নবান্ন অভিযানের জেরে বড়বাজারে ক্ষতি একশো কোটি টাকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার ব্যবসার আশায় দোকানিরা বড়বাজার এলাকায় খুলতে শুরু করেছিল দোকানপাট। কেনাকাটাও শুরু হয়েছিল। বেলা দশটার পর বড়বাজারের চেহারা বদলে যায়। কার্যত বন্ধের চেহারা নিল বড়বাজার। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে অশান্তির আতঙ্কে ও খরিদ্দার না থাকায় বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের হিসেব, পুজোর মুখে বিক্রি বন্ধ থাকায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেচাকেনার ক্ষতি হল শুধু বড়বাজারে।
বড়বাজারের ক্রেতারা মূলত হাওড়া এবং শিয়ালদহ হয়ে আসেন। নবান্ন অভিযানের মিছিল আটকাতে বন্ধ করা হয়েছিল হাওড়া ব্রিজ। কলেজ স্কোয়ার থেকে আসা মিছিলের কারণে অবরুদ্ধ ছিল এম জি রোড। ক্রেতা আসেনি শিয়ালদহের থেকেও। পুলিশ বড়বাজারের ব্যবসা পট্টিগুলির মুখ গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল আশঙ্কায়। খরিদ্দাররা দিশাহারা হয়ে পড়েন। ঘুরপথে দোকান খুঁজতে গিয়ে বড়বাজারে নাজেহাল হন মানুষজন।
পুলিশ যে সময় থেকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে, তখনই দোকানের ঝাঁপ নামান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বিচার আমরাও চাই। এভাবে ব্যবসা বন্ধ করে দিনভর আন্দোলনের কী অর্থ, তা জানা নেই। খাবারের দোকানদারেরা বলছিলেন, এত খাবার এখন কী হবে? এই ক্ষতির দায় কে নেবে? জেলা যেতে ছোট দোকানদাররা পাইকারি কেনাকাটা করতে বড়বাজারে এসেছিলেন। তাঁরাও ফিরে গিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
পোস্তা এলাকাতে সন্ধ্যা পর্যন্ত লরি ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। থমকে ছিল ব্যবসা। বড়বাজার লাগোয়া জগন্নাথ ঘাট ফুলবাজারে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি হয়নি ফুল-মালা। ডাঁই হয়ে পড়ে গাঁদা-রজনীগন্ধা। সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক বললেন, একদিনে ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতি হল। কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসয়ের প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার বললেন, পুজোর মুখে বড়বাজারে কেনাবেচা বন্ধ থাকার মানে এক দিনে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতি। শুধু কাপড়ের ব্যবসা নয়, এই এলাকায় এমন কোনও জিনিস নেই যা বিক্রি হয় না। পুজোর আগে বেচাকেনা ধাক্কা গেল।