পুজোর আগেই গ্রামে উৎসব দেগঙ্গার গ্রামে, এল বিদ্যুৎ সংযোগ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জানগরের সর্দারপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে আত্মীয়রা গ্রামে এসে রাত কাটাতে রাজি হতেন না। বছরের পর বছর এলাকার মানুষের ভরসা ছিল মোমবাতি, হাতপাখা। রাতে পড়াশোনার জন্য ব্যবহৃত হতো কূপি বা লণ্ঠন। মূলত, জমিজটের কারণে সর্দারপাড়ায় দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ ছিল না। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, চাষিদের অমতের কারণেই এই সমস্যা। অবশেষে বিদ্যুৎ সংযোগ এল দেগঙ্গার সেই গ্রামে। রাজ্য সরকার সর্বোপরি বিদ্যুৎ দপ্তরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। মঙ্গল ও বুধবার জোরকোদমে কাজ চালিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটল দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের মির্জানগর সর্দারপাড়ার মানুষের।
২৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার এলাকা পরিদর্শন করেন ব্লক ও বিদ্যুৎদপ্তরের আধিকারিকরা। কথা বলেন এলাকার মানুষ ও স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে। ১৭টি ইলেকট্রিক পোস্ট দিয়ে ওই পাড়ায় আগামী এক সপ্তাহে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর কাজ শুরু হবে বলেও ঘোষণা করা হয়। তাতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায়, সক্রিয় হন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপরেই মঙ্গল ও বুধবার জোরকদমে শুরু হয় কাজ। দু’দিনে বিদ্যুৎহীন১৬টি পরিবারে সংযোগ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হল বলছেন স্থানীয় বাসিন্দা রীতা কাহার। তাঁর কথায়, আমরা এতদিন অন্ধকারে ছিলাম। বুধবার বিকেলে আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে। ঘুরছে পাখা, জ্বলছে আলো। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস ও বিদ্যুৎদপ্তরকে ধন্যবাদ।
পুজোর আগেই গ্রামে উৎসব শুরু হয়েছে। একই কথা বলছেন আলিমা মিস্ত্রিও। তিনি বলেন, আমরা এতদিন অন্ধকারে ছিলাম, এবার আলো পাচ্ছি। মঙ্গলবার কিছু বাড়িতে দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। বুধবার বিকেলে আমার বাড়িতে আলো আসে। মাঠ-ঘাটে কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও কোমর সমান জল ভেঙে পোস্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সর্দারপাড়ায়। দু’দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন কর্মীরা। এ নিয়ে দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ওই পরিবারগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে দু’দিন ধরে। খোঁজ নিয়ে দেখুন প্রতিটি বাড়িতেই ইলেকট্রিক পৌঁছেছে।