বাংলার চাপে শতাব্দী প্রাচীন রেজিস্ট্রেশন আইনে ঢালাও পরিবর্তন আনছে কেন্দ্র?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্য সরকার জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে একাধিক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা চালু করেছে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন আরম্ভ হয়েছিল করোনার সময়ে। যদিও আইনি জটিলতার জেরে সম্পূর্ণ ফেসলেস অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা যায়নি। বাংলা ও একাধিক রাজ্য দাবি জানিয়েছে, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে জালিয়াতি রুখতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে পরিবর্তন আনা দরকার। সূত্রের খবর, বাংলার চাপে অবশেষে ১১৬ বছরের পুরনো রেজিস্ট্রেশন আইনে ঢালাও পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র।
১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী আজও জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়। রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট বদল করা নিয়ে রাজ্যের তরফে বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিকবার বলা হলেও কেন্দ্র তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। বাংলা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের পাশাপাশি আরও কয়েকটি রাজ্য এই দাবিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। বর্তমান আইনে সংশোধনী আনার বদলে একেবারে নতুন আইন আনতে রাজ্যগুলির সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির মতামতও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
১৯০৮ সালের সঙ্গে ২০২৪ সালের কোনও মিল নেই। বিভিন্ন সময়ে সংশোধনী হলেও আইনের এখন ঢালাও পরিবর্তন প্রয়োজন। নাহলে বহু ক্ষেত্রে আটকে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে পদক্ষেপ করার কাজ। রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি যত বেশি অনলাইন নির্ভর করা যাবে, তত কমবে জালিয়াতির ঘটনা। ভোগান্তির শিকার হতে হবে না আমজনতাকে।
রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্মের ভার থাকে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে থাকা ডিপার্টমেন্ট অব ল্যান্ড রিসোর্সের হাতে। আইন বদল হলে সাব-রেজিস্ট্রারদের ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। জমির মালিকের নাম ব্যবহার করে অন্য কোনও ব্যক্তি রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে প্রায় অভিযোগ ওঠে। নয়া আইন তৈরি হলে এই ধরনের অভিযোগ যাতে একটিও না-আসে, তা নিশ্চিত করা যাবে।