কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে তারাপীঠ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন তিথিতে মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। ভাদ্র মাসের শুরুর অমাবস্যাই, কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ তবে শুধু তারাপীঠ না, অন্যান্য একাধিক সতীপীঠ-সহ কালী মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয় এই শুভ তিথিতে।
প্রতিবছরের মতো কৌশিকী অমাবস্যা তিথি উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে তারাপীঠ থেকে কঙ্কালীতলা মন্দির। সোমবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে কৌশিকী অমাবস্যা তিথি। তার আগে দু’দিনের সরকারি ছুটি রয়েছে। তাই শনিবার থেকেই দূরদূরান্তের পুণ্যার্থীদের আনাগোনা শুরু হবে বলে দুই মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে। অত্যাধিক ভিড়ে পুণ্যার্থীরা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে দেবীর দর্শন করে পুজো দিতে পারেন, তারজন্য বাঁশের ব্যারিকেড করা হচ্ছে। ফুল ও আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হবে গোটা মন্দির চত্বর। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রবিবার বিকেলে থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়তে চলেছে মন্দির দু’টি। সোমবার সারারাত খোলা থাকবে দুই মন্দিরই।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার প্রায় সাত লক্ষেরও বেশি ভক্ত সমাগম ঘটবে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভক্তদের পুজো দেওয়ার লাইন বাঁশের ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। সারাবছর একশো সিকিউরিটি কর্মী থাকে। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে তিনশো করা হয়েছে। একইভাবে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা দ্বিগুণ করে ৭০টি বসানো হয়েছে। মন্দির চত্বরেই মেডিক্যাল ক্যাম্প, ফায়ারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যা হতেই মন্দিরের চেহারা পাল্টে যাবে। নানা রঙের আলোর ছটা গর্ভগৃহের দেওয়ালে ফেলা হবে। সেই সঙ্গে গোটা মন্দির চত্বর ফুল ও আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে। পুলিসের পক্ষ থেকে তারাপীঠের জনবহুল মোড়গুলিতে ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। যাতে ভিড়ে যাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাঁরা এই স্ক্রিনের মাধ্যমে দেবীর পুজো ও আরতি দর্শন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২৭০০ পুলিস কর্মী। বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে শ্মশান চত্বরকে।