প্রত্যাশিত ছিল অসমে তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে রিপুনের পদত্যাগ! কী বলছে রাজনৈতিক মহল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পদত্যাগ করলেন অসম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি রিপুন বরা। রবিবার ১লা সেপ্টেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে পদত্যাগ করেছেন তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। তার পরেই তাঁকে দেওয়া হয় রাজ্য সভাপতির গুরুদায়িত্ব। কিন্তু হঠাৎ কেন এই পদত্যাগ?
রাজনৈতিক মহলের মতে, অসমে ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩১টি জেলায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রিপুনের নেতৃত্বে বিগত লোকসভা নির্বাচনে অসমে মাত্র ৪টি আসনে লড়াই করে মোট ৮০ হাজার ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। যা দল পরিচালনায় তাঁর ব্যর্থতাই প্রমাণ করে।
অসমে তৃণমূলের সভাপতি হিসাবে শুধু নিজের ব্যর্থতা নয়, এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্যান্য কারণও। তাদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেস অসমে বাঙালিদের দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছিল। যা তাঁর জন্য শুভকর ছিল না। কার্যত সেই কারণেই রিপুন পদ থেকে সরে গেলেন।
তৃণমূল শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন, তিনি রাজ্যসভার আসন চেয়েছিলেন কিন্তু তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে দলের পক্ষ থেকে তাঁকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মুকুল সাংমা। আর এক বছরের মাথায় ২০২৪ সালে মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা স্বীকৃতি পান ডা: মুকুল সাংমা। এক দিকে মুকুলে ঘাসফুল ফোটানোর সফলতা, অন্যদিকে অসমে রিপুনের সাংগঠনিক ব্যর্থতা। সূত্রের খবর, অসমের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গুয়াহাটি যাবেন তৃণমূলের পদাধিকারীদের সঙ্গে দেখা করতে। তার আগেই ব্যাকফুটে থাকা রিপুন বরার পদত্যাগ নেহাতই নিজের মুখরক্ষার খাতিরেই? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে।