মেট্রোর একাধিক স্টেশন ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন’, নিয়োগ বন্ধ রেখে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য শিকেয় তোলার অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতা মেট্রোয় এবার চালু হচ্ছে ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন স্টেশন’। শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, মেট্রো রেলওয়ে পার্পল এবং অরেঞ্জ লাইনের তিনটি স্টেশনকে ‘বুকিং কাউন্টার বিহীন’ স্টেশনে পরিণত করতে চলেছে।
জোকা-মাঝেরহাট ও কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) রুটে এই মুহূর্তে তিনটি স্টেশনে টিকিট কাউন্টার পুরোপুরি বন্ধ। জানা গিয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে জোকা-মাঝেরহাট রুটে আরও দু’টি কাউন্টারে স্থায়ীভাবে ঝুলবে ‘ক্লোসড’ লেখা বোর্ড। সব মিলিয়ে এই দুই রুটের পাঁচটি স্টেশনের কাউন্টার থেকে যাত্রীরা টোকেন বা স্মার্ট কার্ড কিনতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, নিয়োগ বন্ধ রেখে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য শিকেয় তোলা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই রক্ষণাবেক্ষণ সেভাবে হয় না। পরিচালন প্রক্রিয়ায় চরম অব্যবস্থা। কাউন্টার বন্ধ করার পিছনে বড় কোনও অভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করছে তাঁদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ঘুরিয়ে আম জনতাকে বাধ্য করা হচ্ছে স্মার্ট কার্ড কিনতে। স্মার্ট কার্ড বিক্রি হলে রেলের ঘরে বাড়তি টাকা ঢুকবে। এই গচ্ছিত টাকার পরিমাণ গত এক বছরে অনেকটা বাড়ানো হয়েছে।
২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে ১০০ টাকার স্মার্ট কার্ডের দাম বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়েছিল। তার মধ্যে সিকিউরিটি ডিপোজিট ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ১ জুন স্মার্ট কার্ডের দাম ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছিল। অর্থাৎ মাত্র দেড় বছরে স্মার্ট কার্ডের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। কর্মচারী সংগঠনের ওই নেতাদের কথায়, বহু সাধারণ যাত্রী দিনে ৫ বা ১০ টাকা টোকেন কেটে যাতায়াত করেন। কিন্তু কাউন্টার বন্ধ থাকায় এবং প্রযুক্তি নির্ভর টিকিট ব্যবস্থায় সড়গড় না হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাঁদের দেড়শো টাকা দিয়ে স্মার্ট কার্ড কিনতে হচ্ছে।
যাঁর মধ্যে ৮০ টাকা থেকে যাচ্ছে মেট্রো রেলের অ্যাকাউন্টে। প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি যাত্রীর সিকিউরিটি ডিপোজিটের টাকা মেট্রো রেলের ঘরে আটকে রয়েছে। এর পরিমাণ ২৪ কোটি। এই টাকা মেট্রো কর্তৃপক্ষ অন্য খাতে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ কর্মচারী সংগঠনগুলির।