RG Kar নিয়ে রাজনীতি করছে CPIM, প্রতিবাদ করে বামেদের হাতে হেনস্তা মহিলার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়-বিচার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এবং রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজাবাজার ট্রাম ডিপো থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে বামেরা। ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মিছিল শুরু হয়।
শ্যামবাজার মোড়ে ম্যাটাডরের উপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। আচমকাই তাল কাটল এক মহিলার চিৎকারে। তিনি দাবি তোলেন, ধর্ষণের বিচার চেয়ে যে সমাবেশ হচ্ছে, সেখানে কেন রাজনীতির কথা হচ্ছে? মহিলাকে থামাতে প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েন সিপিএমের মহিলা কর্মীরা। কোনও মতে তাঁরা সেখান থেকে ওই মহিলাকে সরিয়ে নিয়ে যান।
নেতাজি মূর্তির নীচে দাঁড়িয়ে সাদা-কালো ডোরাকাটা টিশার্ট পরা এক মহিলা চিৎকার করে বলেন, ‘‘আপনারা রাজনীতির কথা কেন বলছেন? ধর্ষণের বিচারের কথা বলুন! একে অন্যকে দোষারোপ করছেন!’’ সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠেন সিপিএমের মহিলা কর্মীদের একাংশ। সিপিএমের একদল মহিলা কর্মী তাঁকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে টানতে টানতে নিয়ে যান ভূপেন্দ্র বোস অ্যাভিনিউয়ের দিকে। সেই দলে দেখা গেল সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মধুজা সেন রায়কে। মহিলাকে বক্তৃতাস্থল থেকে অনেকটা দূরে নিয়ে যান সিপিএমের মহিলা কর্মীরা। সেখানে গিয়ে সিপিএমের মহিলা বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় ওই মহিলার। তিনি বলে চলেন, ‘‘আপনারা দাবি করছেন… আইন হচ্ছে না। মমতা মোদীকে বলছেন। মোদী মমতাকে বলছেন। ধর্ষণের বিষয়ে কী হবে?’’ পরিস্থিতি সামাল দিতে স্লোগান দিতে থাকেন প্রায় সিপিএমের শতাধিক মহিলা কর্মী। সিপিএম নেত্রী প্রিয়াঙ্কা কাঞ্জিলাল বলেন, ‘‘ওই মহিলা অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন। আমরা তাই মূল সভাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’’