আরজি করের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এবার বাংলাদেশি যোগ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি করের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এবার বাংলাদেশ যোগ গিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ‘রবি’ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের যোগ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যোগসাজশ করে হাসপাতালের জৈব ও মেডিকেল বর্জ্য সীমান্তের ওপারে পাচার করতেন বলে জেনেছে সিবিআই। এর বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা সন্দীপবাবু রোজগার করেছেন বলে দাবি তাদের।
সিবিআই জেনেছে, ২০২২র ফেব্রুয়ারি থেকে-২০২৩ পর্যন্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল বর্জ্য তৈরি হয়েছে ৪৯৬০২.৪৪ কেজি। অথচ এই হাসপাতালের সঙ্গে তুলনীয় এনআরএসে’র বর্জ্যর পরিমাণ ১৫৩৬৫০ কেজি। ২০২০’ র মার্চে সন্দীপবাবু একটি অর্ডার জারি করে বলেন, এখান থেকে যে বর্জ্য আলাদা করা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত মানের চাইতে অত্যন্ত খারাপ ছিল। এই নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত হয়। সেই রিপোর্ট হাতে এসেছে এজেন্সির। তাতে উল্লেখ রয়েছে, হাসাপাতালে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, হ্যান্ড গ্লাভস এগুলি বেআইনিভাবে বিক্রি করা হয়েছে। এরপিছনে একটি চক্র কাজ করছে। যার মাথায় রয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষের স্নেহধন্য সিকিওরিটি গার্ড আফসার খান। তাঁর নির্দেশমতো শঙ্কর রাউথ নামে এক ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক রবিকে তা বিক্রি করছেন। এরপরই শঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পারে, আফসারের কথামতো এই বর্জ্য চলে গিয়েছে সীমান্তের ওপারে।
কিছু বর্জ্য (ব্যবহৃত সিরিঞ্জ) আবার ‘রিসাইকেল’ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে চলে গিয়েছে। কোনওরকম টেন্ডার বা সার্কুলার ছাড়াই এগুলি বিক্রি করে দেওয়ার কাজ চলেছে দিনের পর দিন। এজেন্সির দাবি, প্রাক্তন অধ্যক্ষের মদতে এই কাজ চালিয়ে গিয়েছেন আফসার। এখান থেকে যে টাকা এসেছে, আফসার মারফত তা গিয়েছে সন্দীপবাবুর কাছে। জেরার শুরুতে এই প্রশ্নের উত্তর এড়ালেও, হেফাজত পর্বে নথি সামনে রেখে তাঁকে প্যাচে ফেলতে চান তদন্তকারীরা।