প্ল্যানচেট করে আরজি করের নির্যাতিতার আত্মার সঙ্গে কথা! ইউটিউবারকে ৫০ লাখের চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞান মঞ্চের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সেমিনার রুমে কী ঘটেছিল ৯ই অগস্ট ভোররাতে? কে বা কারা নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করল ৩১ বছরের ওই চিকিৎসক তরুণীকে? এই প্রশ্নের উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছে সিবিআই। ৫ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম শুনানির দিকে তাকিয়ে সকলে।
তদন্তের গতিপথ নিয়ে যেমন মানুষ একদম অজ্ঞ, প্রতিবাদমুখর সকলে পথে নেমে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তেমনই একশ্রেণির মানুষ এই ঘটনা নিয়ে রঙ্গ-উপহাস চালিয়ে যাচ্ছেন। যাদের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান সোশ্যাল মিডিয়া ভিউজ এবং সেখান থেকে আসা অর্থ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান রিলসের ছড়াছড়ি তো ছিলই, সাম্প্রতিক সংযোজন নির্যাতাতির ‘আত্মা’কে হাজির করিয়ে নেওয়া সাক্ষাৎকার।
মাত্র তিনদিনে ন’লক্ষের কাছাকাছি মানুষ দেখে ফেলেছেন সে ভিডিও। ইউটিউবারের দাবি, ”আরজিকর মেডিক্যানল কলেজেই রয়েছে নিহত তরুণী চিকিৎসকের আত্মা। তিনি আমায় বলছেন, ওই রাতে কী হয়েছিল।” এই ধরণের ভিডিওতে চূড়ান্ত আপত্তি প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি। সমিতির সভাপতি দিলীপ দাস মণ্ডল, কার্যকরি সভাপতি দিনেশ সাহা, সাধারণ সম্পাদক মনীশ রায়চৌধুরী একযোগে জানিয়েছেন, যদি সত্যিই কেউ আত্মা হাজির করাতে পারেন তাহলে এত তদন্তের কি প্রয়োজন? সেই তো সব বলে দেবে। আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের প্রমাণ দিলে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়!
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ”সম্প্রতি আরজিকর মেডিক্যা ল কলেজে ঘটে যাওয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মতো মর্মস্পর্শী একটি ঘটনা নিয়ে ইয়ারকি চলতে দেওয়া যায় না। সমাজে এমন অনেক স্বঘোষিত বাবাজি, মাতাজি, পীর, ফকির আছে যারা নিজেদের অলৌকিক, দৈব ক্ষমতার অধিকারী বলে দাবি করে থাকে। অনেকেই আছেন যারা প্যা রানরমাল ইনভেস্টিগেটর বলে নিজেকে দাবি করে ইএমএফ ডিটেক্টর, থার্মাল স্ক্যাননার, ইকোভক্স নিয়ে প্রেতাত্মার সন্ধানে ঘুরে বেরান।”