আন্দোলন চলছেই, দ্রোহের জেরে বিপাকে স্কুল পড়ুয়ারা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্কুল ছুটি হচ্ছে বিকেলে কিন্তু পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরেছে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। কারণ আন্দোলন চলছে শহরে। মঙ্গলবারও শহর অচল, স্তব্ধ। শিশুদের দেরি থেকে চিন্তায় বাবা-মায়েরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেনশনে কাটছে। বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে ঘণ্টাখানেক থমকে থাকা মধ্য ও উত্তর কলকাতা, সঙ্গে তীব্র যানজট। শিশুরা যতক্ষণ না-বাড়ি পৌঁছেছে, চোখেমুখে আতঙ্ক পরিবারের। রাজনীতির মোড়কে ঢেকে গিয়েছে আন্দোলন। ভুগছে আম জনতা। এখনও মানুষ চাইছে ন্যায়বিচার। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা? সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পরও? প্রশ্ন অনেকেরই।
সোমবার দুপুর তিনটেয় শুরু হওয়া লালবাজার অভিযান শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। সিপির পদত্যাগ চেয়ে সিপির কাছেই সেই ডেপুটেশন দিয়ে আসে ২২ জনের প্রতিনিধিদল। যদিও সোমবারই পুলিশ তাদের বলেছিল, আপনাদের মধ্যে থেকে প্রতিনিধিরা লালবাজারে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিতে পারেন। ব্যারিকেড খোলার দাবিতে অনড় ছিলেন তাঁরা। শেষে পিছু হটে পুলিশ। বিচারের স্লোগান হারিয়ে লালবাজার চত্বরে শোনা গিয়েছে ‘আয় পুলিস দেখে যা, ডাক্তারদের ক্ষমতা’। ইগোর লড়াই চলছে যেন! সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা আস্থা হারাচ্ছেন। লালবাজার স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, রাধাবাজার লেন সহ মধ্য কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা একেবারে স্তব্ধ। কারণ, আন্দোলন চলছে।
নিত্য নতুন দাবি আসছে, দাবি পূরণ হলে ফের এক দাবি। চাপা পড়ছে বিচারের দাবি। ভিড় ধীরে ধীরে পাতলা হচ্ছে। আম জনতার প্রশ্ন এবার কি অফিস টাইমে মিছিল-বিক্ষোভ বন্ধ হবে?