রোগীর ভিড় সরকারি হাসপাতাসগুলিতে, হয়রান হতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: যাঁরা টানা কয়েকদিন ধরে তুলনামূলক ফাঁকা হাসপাতাল দেখে অভ্যস্ত, তাঁরাও বুধবার থেকে বেশ চমকে যাচ্ছেন। কারণ, এদিন সকাল থেকেই রোগীর ভিড় ছিল হাসপাতাসগুলিতে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য ওপিডিতে ডাক্তারের সংখ্যা কম। তাই দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়েই ডাক্তার দেখাতে হল রোগীদের। কখনও রোদে পুড়ে কখনও বা বৃষ্টিতে ভিজে। শুধু এসএসকেএম নয়, মেডিক্যাল কলেজ, আর জি করেও এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
এর মাঝেও এসএসকেএমের জরুরি বিভাগ থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন এক রোগীর পরিজন। মুর্শিদাবাদ থেকে মাথা ও বুকে ব্যথা নিয়ে প্রথমে মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন। সেখানে পরিষেবা না পেলে তিনি ফের এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন। রোগীর স্ত্রীয়ের অভিযোগ, ‘হাসপাতাল থেকে বলছে, বেড নেই। এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি। ট্রেনের টিকিট পেলেই বেঙ্গালুরু চলে যাব। ওখানে আশা করি সস্তায় চিকিত্সা পাওয়া যাবে।’
অন্যদিকে, এদিন বিকেলের দিকে আর জি কর হাসপাতালে দেখা গেল, আন্দোলনকারীদের ধর্না মঞ্চের সামনে পথনাটিকা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তা দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন লোকজন। সেই ভিড় সামাল দিতেই ব্যস্ত হতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এদিন আর জি কর হাসপাতাল ও পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের বাইরে কলকাতা পুরসভা হেল্প ডেস্ক খুলে বসেছিল। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সও ছিল। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে এসএসকেএম, এনআরএস ও মেডিক্যাল কলেজের বাইরেও এই হেল্প ডেস্ক খোলা হবে। কেউ যদি হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারেন, তবে তাঁর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে এখান থেকে।
এদিন, মেডিক্যাল কলেজে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখান সঞ্জীব উপাধ্যায়। বলছিলেন, ‘পরিষেবা পেয়েছি। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখাতে পারলাম। এভাবে ডাক্তার দেখানো খুবই কঠিন। এবার ভাবছি, বেসরকারি জায়গাতেই যেতে হবে।’