আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে সরব তৃণমূল সাংসদ
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ”আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই কবে চার্জশিট দাখিল করে অভিযুক্তদের বিচার শুরু করাবে?”
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর এই ঘটনার তদন্ত চলে যায় সিবিআই-এর কাছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তো গ্রেপ্তার করেছে, কিন্তু তিনি চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হননি, হয়েছেন হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির ইস্যুতে। এদিকে আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে বড় প্রশ্ন তুলে সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
এর আগেও আরজি কর কাণ্ড নিয়এ সরব হয়েছিলেন ডেরেক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “কলকাতায় এক তরুণীকে হত্যা এবং নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, তার চেয়ে জঘন্য অপরাধ চিন্তাও করা যায় না। জনসাধারণের ক্রোধের কারণ সহজবোধ্য।” আরজি কর নিয়ে মমতার পদযাত্রার তিনটি উদ্দেশ্যের কথাও বলেন ডেরেক। তাঁর বক্তব্য ছিল, “এই মুহূর্তে যারা মামলাটির তদন্ত করছে, সেই সিবিআই-কে তাদের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিদিন জানাতে হবে। কলকাতা পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী সময় বেঁধে দিয়ে বলেছিলেন, ১৭ অগস্টের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে। সিবিআই-এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কলকাতা পুলিশ এক জন অভিযুক্তকে ধরেছিল। তখনই সঠিক বিচার হবে যখন সিবিআই সংশ্লিষ্ট সকলকে ধরতে পারবে এবং মামলাটিকে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে পাঠাতে পারবে।” ডেরেকের দাবি ছিল, সিবিআই যেন নীরবে তদন্তকে ‘মাটিতে পুঁতে’ না ফেলে। এখন দ্রুত বিচার এবং অপরাধীদের কঠোর সাজাটাই জরুরি।
কলকাতা পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছিল সেই সঞ্জয় রায়ই আরজি করের ছাত্রী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত। কিন্তু দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে। কিন্তু সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হওয়ার পর সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেস তাই বারবার সিবিআই-এর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির আগে ডেরেকের এই টুইট আদতে সিবিআই-এর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করার প্রয়াস।