কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

RG Kar-এ বিনা চিকিৎসায় মৃত যুবকের মা’র প্রশ্ন- ‘ডাক্তাররা কি প্রতিশোধ নিচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর?’

September 7, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরজি কর হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের বিক্রম ভট্টাচার্যের। মৃত যুবকের মা জানালেন চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার তিনিও চান। কিন্তু তাঁর একমাত্র পুত্র যে ভাবে কষ্ট পেয়ে মারা গিয়েছেন, তার বিচার কে করবে? তাঁর প্রশ্ন, তবে কি চিকিৎসকেরা সাধারণ মানুষের উপর ‘প্রতিশোধ’ নিচ্ছেন?

কোন্নগরের যুবক বিক্রম লরি দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। গুরুতর জখম হয় তাঁর পা। প্রথমে তাঁকে শ্রীরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে রেফার করা হয়। মৃত যুবকে মা কবিতা দাশের অভিযোগ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জরুরি বিভাগ এবং আউটডোরের মধ্যে শুধু দৌড়ে বেরিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। কোথাও কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। কবিতার কথায়, ‘‘কোনও চিকিৎসক আসেননি। এক জন গুরুতর আহত রোগীকে কোনও পরিষেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল। একটা ডাক্তার নেই। আমার ছেলেটা চোখের সামনে চিকিৎসা না পেয়ে তড়পে তড়পে মরেছে। শেষে হার্ট ফেল করল।’’ এর পরেই বিচার চেয়েছেন কবিতা। তিনি বলেন, ‘‘এই ডাক্তারদের বিচার কে করবে? আমার ছেলেটা এত যন্ত্রণা পেয়ে মরল।’’

কবিতা জানিয়েছেন, তিনিও এক জন মা। তিনিও চান আরজি করের চিকিৎসক বিচার পান। কিন্তু তা বলে পরিষেবা কেন বন্ধ থাকবে, সেই প্রশ্নই তুললেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কি চাই না একটা মেয়ের বিচার হোক? একটা মেয়ের যে ভাবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, আমরা কি চাই না, তার বিচার হোক? আমরাও তো মা। কিন্তু আজ আমার সন্তান চলে গেল বিনা চিকিৎসায়। ডাক্তারদের বিচার চাইছি। কেন পরিষেবা দিচ্ছে না? ওরা কি প্রতিশোধ নিচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর?’’

শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে আহত ছেলেকে নিয়ে গিয়ে কী পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন কবিতা এবং তাঁর মা ভারতী মালাকার। এক বার জরুরি বিভাগ, এক বার আউটডোরে দৌড়েছেন তাঁরা। কবিতার কথায়, ‘‘আমরা করিডিয়াম বিল্ডিংয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করি, চিকিৎসক রয়েছেন কি না। এক ম্যাডাম বললেন, নেই। এর পর আউটডোরে নিয়ে গেলাম। টিকিট করলাম। সেখানে চেম্বারের দরজা ধাক্কা দিলাম। এক জন ম্যাডাম বেরিয়ে এসে বললেন, ডাক্তার নেই। অপেক্ষা করুন। ছেলের পা দিয়ে তখন রক্তপাত হচ্ছে।’’ মৃতের মায়ের অভিযোগ, সে সব দেখার পরেও দীর্ঘ ক্ষণ কোনও চিকিৎসক আসেননি।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, শুক্রবার সকাল ৯টা-১০টা নাগাদ ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি পায়ের এক্স-রে, মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়। চিকিৎসায় বিক্রম সে ভাবে সাড়া দিচ্ছিলেন না। যদিও বিক্রমের মা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের সিটি স্ক্যান করানো হয়নি। এক্স-রে করাতে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই অসাড় হয়ে আসছিলেন তিনি। কবিতার কথায়, ‘‘ব্যান্ডেজ করার পরেও রক্তপাত বন্ধ হয়নি। এক্স-রে রুমে নিয়ে গেলাম। দেখলাম নিঃশ্বাস নিচ্ছে। একটু চোখ সরালাম। দেখলাম আর নেই।’’ আর এ জন্য তিনি হাসপাতালের পরিষেবার দিকেই আঙুল তুলেছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Protest, #Death, #RG Kar Medical College Hospital, #RG Kar Incident, #RG Kar Hospital, #RG Kar case

আরো দেখুন