গণেশ ঠাকুরকে খুশি করতে মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা প্রিয় বাঙালি ভিড় জমিয়েছে লাড্ডু, মোদক কিনতে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা প্রিয় বাঙালির ভিড় লাড্ডু, মোদক কেনার। পেটুক গণেশ ঠাকুরকে খুশি করতে দেদার বিক্রি হল পাঁচশো, হাজার টাকা দামের লাড্ডু ও মোদক। শুক্রবার সকালে মৃৎশিল্পীরা বড় গণেশ ঠাকুরের মূর্তিতে শেষ মুহূর্তের টাচ দিতে দেখা গেল। বিকেল হতেই বড় বড় ভুঁড়িওয়ালা গণেশ ঠাকুর রওনা দিলেন মণ্ডপের উদ্দেশে। শারদীয়া উৎসবে মাতার আগে ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ বলতে মুখিয়ে রয়েছে বাংলার মানুষ।
সিদ্ধিদাতার উপাসনায় মাতোয়ারা শিল্পাঞ্চল। উৎসবের রেশ ছড়িয়েছে শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানেও। বাজেপ্রতাপপুর, নীলপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কালনা, কাটোয়া, মেমারি এবং জামালপুরেও ধুমধাম করে পুজো হচ্ছে।
আসানসোলের মিষ্টি ব্যবসায়ী গৌতম বন্দোপাধ্যায় কারিগরদের নিয়ে এবার ছ’রকমের মোদক প্রস্তুত করিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে কেশরের মোদক, নারকেলের মোদক, চকোলেট মোদক, ক্ষীরের মোদক। পরীক্ষা করেছিলেন এবার। দেখতে চেয়েছিলেন রসগোল্লা কালাকাঁদ প্রিয় বাঙালি ভিন্ন স্বাদের মোদক কতটা উৎসাহ নিয়ে গ্রহণ করেন। ব্যবসায়ী চমকে উঠেছেন, শুক্রবার বিকেল পড়ার আগেই মোদকশূন্য দোকানের শোকেস। সরস্বতী পুজোর মতো যেন আসানসোলের বাড়িতে বাড়িতে গণেশ পুজো হচ্ছে। মা দুর্গার সন্তানকে খুশি করতে মোদক কিনতে কার্পণ্য করেনি বাঙালি। বাজার ধরতে মিষ্টি বিক্রেতারা ছোট লাড্ডুর পাশাপাশি ৫০০ থেকে তিন কেজি, এমনকী পাঁচ কেজির লাড্ডু বানিয়েছেন। বড় পুজো উদ্যোক্তা থেকে বাড়িতে গণেশ পুজোর আয়োজন করা গৃহস্থ লাড্ডু লুফে নিয়েছে।