এবার গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক বাড়ির জন্য চালু হচ্ছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গ্রামেও মিলবে শহরের সুবিধা। পুরসভা এলাকায় প্রতিটি বাড়ির নির্দিষ্ট হোল্ডিং নম্বর থাকে। রাস্তা বা এলাকার নাম ও নম্বর দিয়ে ঠিকানা চিহ্নিত করা হয়। গ্রামীণ অঞ্চলে এই সুবিধা নেই। গ্রামে সাধারণত গৃহকর্তা বা কোনও ব্যক্তির নাম ধরেই ঠিকানা খুঁজতে হয়। বিভ্রান্তি হয় যথেষ্ট। এবার মিটতে চলেছে সমস্যা, রাজ্য গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক বাড়ির জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন বা অ্যাসেসি নম্বর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যার ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়ির নির্দিষ্ট ঠিকানা চালু করা হবে।
স্মার্ট পঞ্চায়েত গঠনের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করছে। গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক বাড়ির ইউনিক আইডি বা অ্যাসেসি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সে’কারণেই। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি নির্দিষ্ট লোকাল গভর্নমেন্ট ডাইরেক্টরি কোড রয়েছে। কোড বসিয়ে প্রতিটি বাড়ির জন্য একটি করে নম্বর ব্যবহার করলেই তৈরি হবে ইউনিক অ্যাসেসি নম্বর। প্রতিটি নম্বর হবে ১০ ডিজিটের।
রুরাল বিল্ডিং রুলসে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স, সম্পত্তি কর সহ সমস্ত কাজেই বাড়ির ইউনিক অ্যাসেসি নম্বর কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্বে থাকা আইজিআর এবং রাজ্যের ভূমিসংস্কার দপ্তরের তথ্যের সঙ্গে এই অ্যাসেসি নম্বর সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা রয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরের। জমি-বাড়ি কেনার সময় ক্রেতা অ্যাসেসি নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট পোর্টালে খোঁজ করলেই সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। গ্রামাঞ্চলে ইউনিক অ্যাসেসি নম্বর চালু করার জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শুরুর দিকেই গ্রামাঞ্চলে বাড়ির অ্যাসেসি নম্বর দেওয়ার কাজ চালু হবে।