পরিবেশ রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ, বাতিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ক্যাম্প বসবে পাড়ায় পাড়ায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শহরের পাড়ায় পাড়ায় বসবে ক্যাম্প, পরিবেশ রক্ষায় পুরসভা ও ওয়েবেল যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে। ক্যাম্পগুলো বাতিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করবে। বিক্রি করলে টাকা পাওয়া যাবে। ওয়েবেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার দাসের কথায়, বিনা পয়সায় নয়। যে যা বাতিল দ্রব্য বিক্রি করবেন তার বদলে টাকা পাবেন। ওয়েবেল তার দাম নির্ধারণ করেছে। ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি প্রক্রিয়াকরণের জন্য সোনারপুর আইটি পার্কে তৈরি হচ্ছে প্লান্ট। বাতিল যন্ত্রপাতিকে রিসাইকেল করে নতুন যন্ত্র তৈরি হবে। প্লান্টে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
প্রতি বছর দেড় লক্ষ মেট্রিক টন ই-ওয়েস্ট তৈরি হচ্ছে বাংলায়। নিত্য নতুন গ্যাজেট কিনছে আমবাঙালি। পুরনো মোবাইল, টিভি, ইস্ত্রি, ওয়াশিং মেশিন পড়ে থাকছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের আহ্বান, যা আজ কাজে লাগছে না। তা কোনওদিনই লাগবে না। জমিয়ে না রেখে বিক্রি করে দিন। বাতিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে বিক্রি করে দেন অনেকেই। তাতেই বিপদ। বাতিল রেডিও, টিভি, মাইক্রোওয়েভ, ইনভার্টারে তামা, অ্যালুমিনিয়াম, সোনা, রুপো, প্যালাডিয়াম, প্লাটিনাম, নিকেল, টিন, লেড (দস্তা), লোহা, সালফার, ফসফরাস, আর্সেনিকের মতো উপাদান থাকে। এগুলো পরিবেশে মিশলে প্রভূত ক্ষতি। ই-বর্জ্যে থাকা একাধিক উপাদানের জেরে চোখ, ত্বক, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্যাডমিয়ামের মতো ধাতু থাকে যা ফুসফুসের ক্যানসার, কিডনি ও লিভারের সমস্যার কারণ।
শনিবার থেকে কলকাতা পুরসভা, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যৌথভাবে ই-বর্জ্য সংগ্রহ আরম্ভ করল। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম ক্যাম্প হবে এক এবং ন’ নম্বর বরোয়। গোটা কলকাতাতেই হবে ক্যাম্প। বিক্রির টাকা দেওয়া হবে অনলাইনে। আধার কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই তাঁদের ব্যাঙ্ক ডিটেইল নিয়ে আসতে হবে ক্যাম্পে। সেখান থেকে টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।