কলকাতা শহরের ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট জানতে টোপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নগরায়ন-বিশেষজ্ঞ ও ভূতত্ত্ববিদেরা বলছেন, কলকাতার আকৃতি গামলা বা বাটির মতো। তাই বৃষ্টি হলে এখানে জল জমা অস্বাভাবিক নয়। এই পরিস্থিতিতে জল কত তাড়াতাড়ি বেরোবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। শহরে জল জমা নিয়ে বিবিধ ব্যাখ্যা শোনা যায়। সেগুলি কি বিজ্ঞানভিত্তিক? কলকাতা পুরসভার দাবি, এমন কোনও নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্য হাতে নেই। এমন কোনও সমীক্ষাও কোনওদিন হয়নি। এবার বরং হবে।
কলকাতা শহরের ভূপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট জানতে টোপোগ্রাফিক্যাল (ভূসংস্থান) ম্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সমীক্ষাটি হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। তার নাম ‘লাইডার সার্ভে’। এই কাজের জন্য শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে। কলকাতার ভূপৃষ্ঠ কোথায় উঁচু, কোথায় নিচু, কোথায় ঢালু বা কোন এলাকার ঢাল কোন দিকে গড়িয়েছে সে তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে থাকবে ডিজিটাল ম্যাপে।
পুরসভার নিকাশি বিভাগ সূত্রে খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থা উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তিন ধাপে সেই টাকা পাওয়া যাবে। তার মধ্যে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে ‘আর্লি ফ্লাড ওয়ার্নিং সিস্টেম’ অর্থাৎ কোন অঞ্চলে কত বৃষ্টি হলে কত জল জমতে পারে, তার আন্দাজ পেতে বিশেষ ডিজিটাল সেট আপ তৈরি করা হবে। তার অঙ্গ হিসেবেই এই টোপোগ্রাফিক্যাল ম্যাপ তৈরির জন্য লাইডার সার্ভের সিদ্ধান্ত। পুরসভার নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরের নিকাশির উন্নতিতে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে নয়া ফুলপ্রুফ সিস্টেম তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে।’