ঘোর কলি! এপারের ইলিশ দিচ্ছে ওপারে পাড়ি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দীঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ কিংবা বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জে যে পরিমাণ ইলিশ ওঠে, তাতে বাংলার বাজারগুলির চাহিদা কিছুটা মেটে। গঙ্গা বা রূপনারায়ণের মতো নদীগুলিতে ইলিশ মেলে বটে, তবে তা যৎসামান্য। এপার বাংলার মানুষকে ইলিশের জন্য ওপার বাংলার পদ্মার উপর ভরসা করতে হয়। বাংলাদেশের ইলিশ এবছর আদৌ আসবে কি না, তা অনিশ্চিত। বাজার ছেয়েছে মুম্বই, গুজরাত বা মায়ানমারের ইলিশে। চাহিদা মেটাতে ইলিশ আমদানি করতে হয় প্রতি বছরই। তবে দীঘা, ডায়মন্ডহারবার বা ফ্রেজারগঞ্জের ইলিশ পাড়ি দেয় অন্য দেশেও। তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ড, তেমনই বাংলাদেশেও যায় বাংলার ইলিশ।
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি অথবর্ষে আগস্ট পর্যন্ত বাংলা থেকে ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ ০.২৯ টন। রপ্তানির অঙ্ক ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। সবটাই রপ্তানি হয়েছে ইংল্যান্ডে। গত অর্থবর্ষে সে’দেশে বাংলা থেকে ১.৪৫ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল। দাম ছিল ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। বাঙালির পছন্দের মাছটির উৎপাদন এতটাই কম, ফলে রপ্তানি নিয়ে ভাবনার অবকাশ ছিল না। গত কয়েক বছরে দু’-একটি সংস্থা উৎসাহ দেখানোয় রপ্তানি শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন বা এফএও জানিয়েছে, বিশ্বে যতটা ইলিশ উৎপাদন হয়, তার সিংহভাগই বাংলাদেশ থেকে। একদা মোট ইলিশ উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ দখলে রাখত তারা। ভারতের থাকত ৫ থেকে ৬ শতাংশ। বাকিটা পেত মায়ানমার, পাকিস্তান, ইরাক, ইরান ও কুয়েত। বাংলাদেশ মোট উৎপাদনের ৯৭.০১ শতাংশ দখল করে নিয়েছে। ইলিশের মোট উৎপাদনে ভারতের অংশ মাত্র ২.৪১ শতাংশ। গোটা ভারতেই উৎপাদন এত কম, সেখানে বাংলা থেকে ইলিশ রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে, এটাই কৃতিত্বের।