আরজি কর নিয়ে আন্দোলনের জেরে অর্থসঙ্কটে মঞ্চশিল্পী-ডেকরেটররা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিল্পীরা চাপে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যদি শোয়ের বিজ্ঞাপন দেন, তাহলে তো ট্রোল হতে হচ্ছে। অনেকে বলতে শুরু করছেন, আপনার কি লজ্জা নেই? স্বাভাবিকভাবেই শিল্পীরা বলছেন, ‘সত্যিই তো পরিস্থিতি খারাপ। কী দরকার এখন এসব করে?
এর ফলে একের পর এক লাইভ কনসার্ট স্থগিত কলকাতা শহরে। পিছচ্ছে অনুষ্ঠান। বন্ধ হচ্ছে শো। আর তার মাশুল গুনছেন ডেকরেটর, উদ্যোক্তারা। এই শহরের বুকেই শ্রেয়া ঘোষালের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর জি কর আবহে তা আপাতত পিছিয়ে দিতে হয়েছে শিল্পীকে। তাঁর পকেটে টান না পড়লেও যাঁরা মাইকের ব্যবসা করেন, লাইটের ব্যবস্থাপনায় থাকেন, কিংবা মঞ্চসজ্জা থেকে উপার্জন করেন, সঙ্কট তাঁদের। পুজোর এই সময়টাই তাঁদের সারা বছরের সঞ্চয় বাড়ানোর। আন্দোলনে সমর্থন আছে তাঁদেরও। কিন্তু এভাবে দিনের শেষে তো পেটের ভাতই জুটবে না! ক্ষোভ বাড়ছে। আর সেইসঙ্গে মুখ খুলছেন লাইভ কনসার্টের সঙ্গে যুক্ত লোকেরাই।
শুধু শ্রেয়া ঘোষাল নন, অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে বিশাল মিশ্র, কিং-এর মতো তারকাদেরও। পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে অঞ্জন দত্ত, লোপামুদ্রা মিত্রর শো স্থগিত। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ‘প্রচার বন্ধ। কেউ চেষ্টা করলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে একটা শ্রেণি। কিন্তু সব মানুষই তো কাজ করছেন। আইটি, ব্যাঙ্ক—কিছুই বন্ধ নয়। গোটা ইন্ডাস্ট্রি চলছে। আমার কোম্পানি আমাকে বলছে, এই মাসের টার্গেট যে হল না, মাইনেটা নেবে না তো?’ সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রর একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ১৩ সেপ্টেম্বর। সেটিকে আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে সায়েন্স সিটিতে একটি অনুষ্ঠানের প্রচার করার সময় লোপামুদ্রা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ট্রোলের বিষয়টা নিয়েই লিখেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আপনার পেশা, পেশা। আর আমাদেরটা নয়?…’