উৎসব বয়কটের বিষয়টি রাজনীতিরই অংশ বলে মনে করছেন অনেকে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শহরজুড়ে আন্দোলন চলছে। তার বিক্ষিপ্ত আঁচ পড়ছে পুজোর উপরও। একদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে পুজোর মধ্যেও আন্দোলন চালানোর ডাক দিচ্ছেন। অন্যদিকে পুজোর সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার উদ্যোক্তা, লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী, লক্ষ লক্ষ ব্যবসায়ী, কোটি কোটি দর্শক সুষ্ঠুভাবে পুজো হবে বলে শুরু করে দিয়েছেন প্রস্তুতি।
পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ‘নির্যাতিতা সঠিক বিচার পান। এ দাবি আমাদেরও। কিন্তু পুজো কি দোষ করল।’ তাঁদের মধ্যে অনেকে মনে করছেন, ‘এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে। উৎসব বয়কটের বিষয়টি সেই রাজনীতিরই অংশ।’ শহরের নামকরা পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, ‘এই রাজনীতির জবাব দেবেন জনতাই।’ পুজো রাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা করে। ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষদের মুখে হাসি ফোটায়।
তবে এর মধ্যে কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাক, ‘এবার পুজোয় জাস্টিস লেখা টি শার্ট পরতে হবে। বড় পুজোর বাইরে জমায়েত করতে হবে। বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদেরকেও প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান।’ এই আবহে পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য কি? তারা ঠিকমতো বিজ্ঞাপন পাচ্ছেন? স্টল বুকিং হচ্ছে?
নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপের চারপাশে খাবার-দাবার সহ নানা ধরনের স্টল বসে। পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যাঁরা দুর্গাপুজোকে নিয়ে এসব করছেন, তাঁদের বলব এত পাপ করবেন না। যে পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে, আমরা তার বিচার চাই। কিন্তু বছরে একবার মা আসেন। আমরা অনেক ছোট দোকানদারকে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিই। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও বেশিরভাগ স্টল বুক হয়ে গিয়েছে।’ সুরুচির পাশেই চেতলা অগ্রণী। উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যে ফুচকাওয়ালা, বেলুনওয়ালা, ঢাকিরা সারা বছর পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাঁদের কথাও ভাবতে হবে। পুজোর সঙ্গে আন্দোলনের বিরোধ নেই। কিন্তু পুজোর বিরুদ্ধে কেন বলা হচ্ছে? আমরাও তো বিচারের জন্য বলছি।’