সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ-সহ বারাকপুরের তিনটি হাসপাতালে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা নিয়ে বহু প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীদের মার খাওয়া, কলেজের অধ্যাপক ও চিকিৎসকদের হুমকির মুখে পড়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। তাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিস একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর দত্তে ২৪৪টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। নতুন করে ৪০টি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আরও ২৮০টি ক্যামেরার প্রস্তাব স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ১৩৫ জন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। নতুন করে ১১৫ জন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট ইতিমধ্যে সাগর দত্তে আউটপোস্ট চালু করেছে। সেখানে চার জন অফিসার, ১৬ জন কনস্টেবল ও ৮ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্বে রাখা হয়েছে। বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালেও পুলিস আউট পোস্ট চালু হয়েছে। সেখানে দু’জন পুলিস অফিসার, চারজন কনস্টেবল এবং আটজন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন রয়েছেন। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের আউট পোস্টে দু’জন পুলিস অফিসার, চারজন কনস্টেবল, আটজন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল সহ আর যে যে হাসপাতালে পুলিসি নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে, তা বিবেচনা করা হচ্ছে। সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুলিস কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, সমস্ত হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। পুরুষ ও মহিলা ডাক্তারদের বিশ্রামকক্ষ, শৌচাগার আছে কি না, তা দেখা হয়। অতিরিক্ত ৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক করেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, পুলিস সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া সহ অনান্যরা। বারাসত হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, নিরাপত্তার যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।