ভাইরাল ‘ষড়যন্ত্রের’ অডিও ক্লিপ! জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তায় FIR করে তৎপর পুলিশ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষের পোস্ট করা অডিও ক্লিপ ঘিরে তোলপাড়। যার ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। ‘ষড়যন্ত্রের’ অডিও ক্লিপ ইতিমধ্যেই ভাইরাল। অডিও ক্লিপটিতে একজনকে বলতে শোনা যায়, “সাহেব অর্ডার করেছেন উড়িয়ে দেওয়ার জন্য।” অন্যজন উত্তরে বলেন, “অর্ডার করলে করে দে।” যদিও অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি দৃষ্টিভঙ্গি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বাড়ানো হচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে অডিও ক্লিপ সামনে এনেছেন কুণাল ঘোষ। তাতে দু’জনকে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। কুণাল ঘোষ জানান, “ভয়ঙ্কর চক্রান্তের অভিযোগ আসছে। বলা ভাল, একটা ভয়ঙ্কর চক্রান্ত ফাঁস হচ্ছে। সেটি হচ্ছে, গতকাল যখন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে, যখন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক সংক্রান্ত যে প্রক্রিয়াগুলি চলছিল, সেই সময় যখন তারপরে, যখন বৈঠকটি যে কোনও কারণেই হোক হল না। যখন জুনিয়র ডাক্তাররা প্রেস কনফারেন্স করছিলেন। সেই সময় দুটো-তিনটে শিবির একটা ভয়ঙ্কর প্লট। রাজ্য সরকারকে, তৃণমূল কংগ্রেসকে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে হবে। হামলা করতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের সল্টলেকের ধর্নামঞ্চের উপর। কলকাতার ছেলে নয়, বাইরে ছেলেদের এনে হামলা করে দিতে হবে। যাতে গোটা দায়টা সরকারের ঘাড়ে চাপে। কারণ, বৈঠকটি কাল হয়নি। জুনিয়র ডাক্তাররা ফিরে আসছেন। এই সময়ে যদি মারা যায়, হামলা করা যায় তাহলে এর পুরো দায়টা রাজ্য সরকারের উপর চাপবে। এই ভয়ঙ্কর প্লট যাঁরা করেছেন, তাঁদের মধ্যে বামপন্থী একটি যুব সংগঠন আছে এবং অতি বাম সংগঠন বলে পরিচিত একটি সংগঠনের একজন এরমধ্যে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে বিজেপির যুবনেতাদের একটা অবাধ যাতায়াত তৈরি হয়েছে। ঠিক কী কথোপকথন ওদের শিবির সূত্রেই এই খবরগুলো বেরিয়ে চলে আসছে। তারাও দিয়ে দিচ্ছেন। সবাই যে এই গন্ডগোল-চক্রান্ত চাইছেন তা নয়। ভয়ঙ্কর নির্দিষ্টভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার কথা বলা হচ্ছে।”
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বলা হচ্ছে, তারা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি এফআইআর রুজু করছেন। এফআইআর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। ধর্ণায় বাইরে লোক ঢুকে যাওয়ার মতো অভিযোগ সামনে আসছে। কমিশনারেটের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানস্থলে সিসি টিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সিনিয়র অফিসারদের বেশি সংখ্যায় মোতায়েন করা হচ্ছে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও পুলিশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।