রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সন্দীপ-অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার আর্জি CBI-র

September 16, 2024 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: The Week

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সন্দীপের সঙ্গে আঁতাত করে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল? রবিবার শিয়ালদহ আদালতে এমনই দাবি করেছে সিবিআই। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন বলেই কোর্টে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শনিবার রাতে সন্দীপের সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে। তাঁর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রাক্তন অধ্যক্ষের সঙ্গে আঁতাতের বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছে সিবিআই। ধর্ষণ-খুন মামলায় সন্দীপ কীভাবে জড়িত, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে আদালতে। তদন্তকারী সংস্থার মতে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা রয়েছে। বিচারক ধৃত দু’জনকেই আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেপাজতের নির্দেশ দেন।

গোটা তদন্তে তিনটি ধাপ রয়েছে বলে মত সিবিআইয়ের। ধর্ষণ-খুনের ঘটনা কে ঘটাল? কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল? সমগ্র ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত? ইতিমধ্যে একাধিক জোরালো প্রমাণ হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, লালবাজারের এক শীর্ষকর্তাকে ডেকে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের দুই তদন্তকারী অফিসারকে এজেন্সি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে প্রাণ হারানো রোগীদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রবিবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সকাল ১০টায় ঘটনার খবর পেয়েছিলেন ওসি। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন ১১টায়। এক ঘণ্টার ব্যবধান কেন? পুলিশ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেননি তিনি। ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এক মিনিটও সময় নষ্ট করা যায় না। সতর্ক থাকতে হয়। এক্ষেত্রে সতর্কতা অনুসরণ করেননি অভিজিৎ মণ্ডল। আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, পরিবারের লোকজন দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত দাবি করার পরেও, দ্রুত দেহ সৎকারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে প্রথমে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুপুর ২টো ৫৫ নাগাদ অভিযোগ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ অভিযোগ জানায় তরুণীর পরিবার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে রাত সাড়ে ১১টায়। এফআইআর করতে দেরি হয়েছে। ওসি হিসেবে ক্রাইম সিন থেকে বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রীর পূর্ণাঙ্গ ভিডিও করতেও ব্যর্থ হয়েছেন অভিজিৎবাবু। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফুটপ্রিন্ট উধাও হয়েছে।

সিবিআইয়ের দাবি, অভিজিৎ মণ্ডল ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় যুক্ত নাও থাকতে পারেন। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সম্ভাবনা যথেষ্ট। অভিজিৎবাবুর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলকে জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগগুলি কর্তব্যে অবহেলার। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায় না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#RG Kar case, #sandeep ghosh, #Abhijit Mondal, #CBI

আরো দেখুন