পুজোয় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দর নিয়ন্ত্রণে তৎপর নবান্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামীকাল, মঙ্গলবার; নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির মন্ত্রী, অফিসাররা, সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে থাকবেন। ৯ সেপ্টেম্বর নবান্ন সভাঘরে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর আগে জিনিসিপত্রের দামবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তিনি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন। তাই মঙ্গলবারের বৈঠকটি হচ্ছে। খাদ্যসামগ্রীর দাম নিয়ে নবান্নে কিছুদিন আগে মুখ্যসচিব একটি বৈঠক করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ করেই চলে যান। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোর জন্য শর্তসাপেক্ষে ব্যবসায়ীদের অনুমতি দেওয়া হয়। তার আগে ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোয় নিষেধ ছিল। নবান্নের বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলিকে জানানো হয়, ভিন রাজ্যে পাঠানো হলেও রাজ্যের বাজারে যেন আলুর দাম না বাড়ে। ২ লক্ষ টন আলু পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা লালু মুখোপাধ্যায় জানান, ভিন রাজ্যে চাহিদা কম থাকায় এখনও সেই পরিমাণ আলু পাঠানো হয়নি। হিমঘর থেকে আগের তুলনায় কম দামে আলু বেরচ্ছে। প্রতি কেজি জ্যোতি আলু হিমঘর থেকে ২৪-২৫ টাকায় বেরচ্ছে। কলকাতার খুচরো বাজারে ৩০-৩১ টাকায় আলু বিক্রি হওয়া উচিত।
সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, সব্জির দাম স্থিতিশীল। অতিবৃষ্টির জেরে সব্জির কোনও ক্ষতি হয়েছে কি-না তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। খুচরো বাজারে পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশে রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ তুলে নিতেই পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য হয়ে ওঠার আশঙ্কার উদয় হয়েছে।