দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনাতে ভাটার টান কল্যাণী শিল্পাঞ্চল!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একদা জমজমাট শিল্পাঞ্চল কল্যাণী এখন কার্যত শিল্পহীন। বিশ্বকর্মার আরাধনাতেও ভাটার টান কল্যাণীতে। আটের দশকে কারখানার সাইরেন শুনে ঘুম ভাঙত কল্যাণীর। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ছ’শো কারখানা ছিল। সাইকেল কর্পোরেশন, উড ইন্ডাস্ট্রি, স্পিনিং মিল, অ্যান্ড্রুইলের মত কারখানা ছিল। হাজার হাজার মানুষ কাজ করতেন সেখানে। বিশ্বকর্মা পুজোয় সাজ সাজ রব পড়ে যেত কল্যাণীতে। চন্দননগরের আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল ও প্রতিমা নিয়ে চলত জোর প্রতিযোগিতা। বিপুল বাজেটের পুজোয় মানুষের ঢল নামত। পুজো উপলক্ষ্যে মেলা বসত। সার্কাসের তাঁবুও পড়ত কোথাও কোথাও। নামী দামি শিল্পীদের অনুষ্ঠান, যাত্রা দেখার সুযোগ। খাওয়ানোর আয়োজন। পুজোর উদ্বোধনে আসতেন বলিউডের নামকরা তারকারা। বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য মুখিয়ে থাকতেন কল্যাণী ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বদলে গিয়েছে সেই ছবি। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়েছে। বেকার হয়েছেন শ্রমিকরা। অনেকেই এখন লটারি বা চায়ের দোকান দিয়েছেন। টোটো চালিয়ে সংসার চালান। কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে এখন হাতে গোনা গুটিকয়েক মাত্র কারখানা রয়েছে। তাও অধিকাংশ বন্ধ হওয়ার দিন গুনছে। ফলে বিশ্বকর্মা পুজোর সংখ্যা কমেছে।
কল্যাণীর বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে বাইরে থেকে এত লোক আসতেন যে, রেলকে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হত। এখন সেসব অতীত। রাজ্য সরকার কল্যাণীকে ফের শিল্পমুখী করতে উদ্যোগ নিয়েছে। বন্ধ কারখানা অধিগ্রহণ করে তৈরি হবে নতুন কারখানা। ক্ষুদ্র শিল্পের জন্যও জায়গা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।