মরশুমের শুরুতেই বক্সা-জলদাপাড়ায় জঙ্গল সাফারিতে ভিড়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নতুন পর্যটন মরশুমের প্রথম দিনই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ল। তিন মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকেই খুলেছে জঙ্গল।
এবার পর্যটন মরশুমে ডুয়ার্সে সাফারির জন্য রয়েছে মোট ন’টি হাতি। একটি হাতি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় সেটিকে ব্যবহার করা হবে না। জলদাপাড়ায় শালকুমার গেট থেকে দু’টি হাতি, গোরুমারার ধূপঝোরায় দু’টি হাতি সাফারির জন্য থাকছে। জলদাপাড়ায় সাফারির পাঁচটি হাতি থাকলেও একটি ছুটিতে আছে। ফলে সেখানে চারটি হাতির পিঠে সাফারি করা যাবে। চিলাপাতায় এনইসি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সাফারির জন্য একটি হাতি পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, কার সাফারির রুটও বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে আগে কার সাফারির রুট ছিল ১৫০ কিমি। এবছর কার সাফারিতে আরও ৩২ কিমি রুট বাড়ানো হয়েছে। জলদাপাড়ায় কার সাফারির জন্য ৪৬টি জিপসি ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায় দু’টি ও জয়ন্তীতে আটটি জিপসিকে কার সাফারির কাজে লাগানো হয়েছে।
তবে পর্যটন মরশুমের প্রথম দিন পর্যটক টানার দৌড়ে বক্সাকে টেক্কা দিয়েছে জলদাপাড়া। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, প্রথম দিনেই পর্যটকদের ভিড় দেখে আমরা অভিভূত। পুজো যত কাছে আসবে এই ভিড় তত বাড়বে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে।
বনদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম দিনেই জাতীয় উদ্যানে হাতি সাফারি করেছেন ৪২ জন পর্যটক। অন্যদিকে, কার সাফারি করেছেন ২৭৫ জন। এদিন চিলাপাতায় বন্ধুদের নিয়ে কার সাফারিতে এসেছিলেন কলকাতার নিউ টাউনের বাসিন্দা তুফান অধিকারী। তিনি বলেন, শুনেছি কার সাফারিতে প্রচণ্ড ভিড় হয়। তাই ভিড় এড়াতেই ছয় বন্ধু মিলে প্রথম দিনেই এলাম। এদিন ভিড় দেখে অবাক হয়েছি। তুফানবাবুর বন্ধু মনোজ দাস ও বিবেক কুমার বলেন, বনদপ্তরের ফুলের তোড়া ও মিষ্টিমুখ করিয়ে আমাদের স্বাগত জানানোয় আমরা আপ্লুত।