শুক্রবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে ধর্ণা তুলে নিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জুনিয়র ডাক্তাররা আগামীকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে থেকে তাদের ধর্মঘট বা ধর্না/কাজ বন্ধ তুলে নিচ্ছেন। শনিবার থেকে তারা জরুরী পরিষেবাগুলিতে যোগদান করবেন এবং ধীরে ধীরে ইনডোর/আউটডোর পরিষেবাগুলিও পুনরায় চালু করা হবে। এই বিষয়ে তারা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন।
প্রসঙ্গত, ডাক্তারদের নিরাপত্তায় রাজ্যের হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। দশ দফা নির্দেশিকা দিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে এই সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। তিনি সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিরাপত্তার নিয়ে অডিটের বিষয়টি দেখভাল করবেন।
অভ্যন্তরীণ অভিযোগগ্রহণ কমিটি (ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস্ কমিটি) এবং অন্য কমিটিগুলিকে সম্পূর্ণ রূপে সচল রাখতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ভাবেই কোনও খামতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে তৎপর রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় ভাবে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই হেল্পলাইন নম্বর দ্রুত চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তার অভাবকে দায়ী করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দীর্ঘ ৪১ দিনের আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা। তা নইলে কাজে ফিরবেন না বলেও জানিয়ে দেন তাঁরা। একে একে জুনিয়র চিকিৎসকদের সমস্ত দাবি সরকার মেনে নেওয়ার পরও তাঁরা কাজে ফিরতে রাজি হননি। কারণ হিসেবে ওই নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছেন। এসবের পর বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা নবান্ন থেকে হাসপাতালগুলির সুরক্ষা পরিকাঠামো নিশ্চিত করতে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হল। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে দশ দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
ডাক্তাররা আগামীকাল বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্যভবন থেকে #সিবিআই অফিস পর্যন্ত মিছিল করবেন।
এছাড়াও বন্যা কবলিত জেলা জুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের দ্বারা “অভয়া” ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।