রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলা, দুর্গতদের পাশে মমতা, ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৪৫ লক্ষ

September 19, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ভয়াবহ বন্যার কবলে দক্ষিণবঙ্গ। বুধবার আরও অবনতি হল বন্যা পরিস্থিতির। ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জলে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়েছে। বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার জেরে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলা প্লাবিত। বন্যার কবলে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের ১২টি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ৪৫ লক্ষ। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, দুর্যোগ ও চলতি বন্যার জেরে মোট ১৯ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। কারও মৃত্যু হয়েছে মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে। কেউ আবার জমা জলে তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে জলে ডুবে ১০ বছরের এক শিশু মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বহু ব্লকের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। হুগলির খানাকুল, পুরশুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ বহু ব্লক রয়েছে তালিকায়। মোট ১ লক্ষ ৪৪ হাজার মানুষকে প্রশাসন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বন্যাদুর্গত হুগলির পুরশুড়া ও গোঘাট, আরামবাগে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে বাংলায় ম্যানমেড বন্যা করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের জলে বাংলা প্লবিত হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত। ডিভিসির বাঁধ থেকে যেভাবে সাড়ে ৩ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, তা আগে কখনও হয়নি।” মুখমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে তিনবার কথা বলেছেন। ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। দুগর্তদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাতে তিনি মেদিনীপুরে ছিলেন। আজ, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বন্যা পরিস্থিতি দেখে কলকাতায় ফেরার কথা তাঁর।

বুধবার সন্ধ্যার পর মাইথন-পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক জল আসছে পাঞ্চেত থেকেই। ঝাড়খণ্ড সরকার নিয়ন্ত্রিত তেনুঘাট বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা অনেক কম হওয়ায় দামোদরের প্রচুর জল আসছে পাঞ্চেতে। মাইথন-পাঞ্চেত বাঁধ থেকে ছাড়া জল দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি জেলার নিম্ন দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে নেমে আসছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে নেমে আসা বিপুল জল হুগলির আরামবাগ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা ভাসিয়ে দিচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#panskura, #Mamata Banerjee, #Flood, #ghatal

আরো দেখুন