যক্ষপুরীকে থিম করে এবার পুজোয় প্যান্ডেল তৈরি করছে এনজেপি সেন্ট্রাল কলোনি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেলওয়ে ইন্সস্টিটিউট মাঠে সেন্ট্রাল কলোনি বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করছে। উল্লেখ্য শিলিগুড়ির বিগবাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এনজেপি সেন্ট্রাল কলোনির পুজো। বিদেশি মন্দিরের অনুকরণে এই প্যান্ডেল তৈরি করছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী মেদিনীপুরের গৌরাঙ্গ কুইল্যা। ফাইবার, ফিতে, সুতো ও ফোম দিয়ে তৈরি হচ্ছে যক্ষপুরী থিমের প্যান্ডেল। পুজো কমিটির সম্পাদক পার্থ দে বলেন, এই যক্ষপুরীর থিমের ভাবনার কারণ আমাদের সমাজ অবক্ষয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানবিক ও সামাজিক চেতনার বৈশিষ্ট্যগুলি ক্রমশ অবলুপ্ত হয়ে চলেছে। যক্ষ যেমন তাঁর ধন আগলে রাখেন, সেরকম যক্ষপুরীর মধ্যদিয়ে অবক্ষয় থেকে মানবিক ও সামাজিক চেতনার বৈশিষ্ট্যকে আঁকড়ে ধরে রাখার আবেদন জানাব। যক্ষ যেমন তাঁর ধন রক্ষা করেন তেমনি আমাদের মূল্যবোধের চেতনা ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবু বলেন, প্রত্যেক বছরই আমরা প্রথম স্থান পেয়ে থাকি। শিলিগুড়ির বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ আমাদের এই পুজো দেখতে আসেন। এবার ৬২তম বর্ষের পুজোতেও আমরা প্রথম স্থান পাওয়ার লক্ষ্যে আয়োজন করছি। শিল্পীর নিখুঁত মণ্ডপসজ্জা ও থিমের মধ্যদিয়ে এবারও আমরা আমাদের পুজো প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের ভিড় টানবে। শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করব। চতুর্থীতে উদ্বোধন হবে। বাজেট ধরা হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা।
এদিকে উইনার্স ক্লাবের পুজো ভাবনা রয়েছে নারীশক্তির সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় মায়ের পুজো। এই পুজো কমিটির সম্পাদক অরুণ কুমার ঘোষাল বলেন, দুর্গার মাতৃরূপে আগমন ঘটে। আমরা শক্তিরূপে তাঁর পুজো করি। সমাজে নারীদের প্রতি আক্রমণ এবং তাঁদের নিরাপত্তাহীনতা ক্রমশ বাড়ছে। তাই সমাজে নারীদের অবদানের দিকটি আমরা আমাদের থিমে তুলে ধরছি। মা দুর্গার থ্রি- ডি ছবি থাকবে। দূর থেকে সেই ছবিতে মা দুর্গাকে দেখা যাবে। কিন্তু কাছে গেলে দেখা যাবে সরোজিনী নাইডু, মাদার টেরিজা, মাতঙ্গিনী হাজরাদের মতো সমাজের লড়াকু নারীদের।