উঠল জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, কীভাবে হল যবনিকা পতন? দেখুন ভিডিও
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৯ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর, ৪৩ দিন পেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থামল। আরজি কর হাসপাতাল, ফিয়ার্স লেন, সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান পেরিয়ে, শুক্রবার দুপুর ৩টেয় শেষ হল। টানাপড়েন, মতানৈক্য এবং দ্বন্দ্ব নিয়ে চলল আন্দোলন। মতান্তর শুরু হয়ে গিয়েছিল আন্দোলনের ১৫ দিনের মাথায়। জেনারেল বডি বৈঠকেও তীব্র টানাপড়েন হয়।
দীর্ঘসময় ধরে চলা জিবি বৈঠক মতানৈক্যের প্রমাণ। তা আন্দোলনকারীরা পরোক্ষে স্বীকারও করে নিয়েছিলেন। আন্দোলন শুরুর সময় থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। গত মাসের ২২-২৩ তারিখ নাগাদই কর্মবিরতিতে ইতি টানতে চেয়ে দাবি উঠে যায় বৈঠকে।
জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চে একাধিক সংগঠনের প্রভাব রয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যে সংগঠনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি, শোনা যায়, কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে ফেরার পক্ষে তারাই সরব ছিল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ এবং এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তারদের নেতৃত্বের বড় অংশ কর্মবিরতি জারি রাখার পক্ষে ছিলেন। আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে অভ্যন্তরে মতানৈক্য ছিল। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসেনি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান তুলে নেওয়া নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। একাংশ সিদ্ধান্তে ‘হতাশ’ বলেই খবর। জুনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশ মনে করছে, একবার অবস্থান উঠে গেলে নতুন করে তা গড়ে তোলা মুশকিল। আবার আন্দোলন শুরু করতে হলে তা যাতে ‘ঐক্যবদ্ধ’ ভাবে হয়, সে কথাও মাথায় রাখার কথা বলছেন কেউ কেউ। বৃহস্পতিবার যে জিবি বৈঠকে আপাতত আংশিক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের অর্থাৎ শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবার কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়, সেখানেও তীব্র তর্কবিতর্ক চলেছে বলেই খবর।
ওইদিন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা সংখ্যায় বেশি ছিলেন। অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলির জুনিয়র ডাক্তারেরা তত সংখ্যায় ছিলেন না। বৃহস্পতিবারের জিবিতে নরমপন্থী অংশ যে তাদের লোক বাড়িয়ে দেবে, তা তাঁরা ধরতে পারেননি। মতামতের ভারে তাদের পিছিয়ে থাকতে হয়। একটি অংশের বক্তব্য, সিনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশ চেয়েছিল, যাতে অন্তত পুজো পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকে। আড়ালে হয়ত ‘রাজনৈতিক স্বার্থ’ থাকতে পারে।
আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ১৫ দিনের মাথাতেই কর্মবিরতি তোলার পক্ষপাতী ছিল। অন্য অংশ ‘বাইরে’ থেকে প্রভাব খাটিয়ে পুজো পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি রাখার বিষয়ে বার্তা দিয়েছিল। শুক্রবার শেষ হল স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান। আংশিক কর্মবিরতিও উঠে যাচ্ছে শনিবার থেকে।