হাসি ফিরল পুজোর বাজারে, চেনা ছন্দে ফিরল কলকাতার প্রায় সব বড় মার্কেট
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: দিন কয়েক আগেও এই চিন্তা রাতের ঘুম কেড়েছিল ব্যবসায়ীদের। পুজো উপলক্ষে যাঁরা নতুন স্টক তুলতে লক্ষ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছেন, তাঁদের ঘরে সেই টাকা ফিরবে কি? দুশ্চিন্তার অন্ত ছিল না তাঁদের। নিম্নচাপের বৃষ্টি শেষে রোদ ওঠার মতোই হাসি ফিরল পুজোর বাজারের। চেনা ছন্দে ফিরল কলকাতার প্রায় সব বড় মার্কেট।
বৃহস্পতিবারের দুপুরটাই দেখিয়ে দিয়েছে, খরা কেটেছে। প্রমাণ মিলেছে গড়িয়াহাটেই। সর্বদা ব্যস্ত এই মোড়ে মানুষের ভিড় এদিন বেড়ে যায় অনেক গুণ। ছ’জন ট্রাফিক সার্জেন্ট সেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। অন্যান্য বছরের মতো রাস্তায় বাঁশের বেড়া বসিয়ে অবাধ্য ক্রেতাদের পথ আটকাচ্ছিলেন তাঁরা। বড় শাড়ির দোকান তো বটেই, ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে যাঁরা পোশাক বিক্রি করেন, ব্যস্ততা ছিল তাঁদেরও। মহিলাদের ঘরোয়া পোশাকের বিক্রেতা সুভাষ বৈদ্য জানালেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনায় তাঁরা সন্তুষ্ট। যেটুকু বিক্রিবাটা চলছে, তা যদি আগামী কয়েক দিন ধরে রাখা যায়, তাহলে খারাপ ব্যবসা হবে না। আর যদি ভিড় বাড়ে, তাহলে তো কথাই নেই।
হাতিবাগানে শাড়ির ব্যবসা রয়েছে রঞ্জন রায়ের। তাঁর কথায়, গত শনি-রবির বৃষ্টির মধ্যেও জাঁকিয়ে বাজার হয়েছে। বিশেষ করে রবিবার বিকেল থেকেই যেন পুজো মার্কেটিংয়ের বোধন হয়েছিল এই চত্বরে। সেই রেশ চলছে এবং বাড়ছে পুজোর দামামা। বাজেট কম হলেও, মানুষ কিছু না কিছু কিনছেন। রঞ্জনবাবু বলেন, ‘এই বাজার যদি আর দিন পনেরো আগে শুরু হতো, কথাই ছিল না।’
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই নিউ মার্কেটে চত্বরে ভিড় ছিল জমজমাট। হগ মার্কেটের সামনের রাস্তায় জুতো, ব্যাগ, খেলনা, ওড়না বা ইমিটেশন গয়নার কেনাবেচা চলল দেদার। হগ মার্কেটের ভিতরে ভিড় উপচে না পড়লেও ক্রেতাদের আনাগোনা ভালোই ছিল।