কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

রবিবারের আগে থেকেই পুজোর বাজার জমজমাট

September 21, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। মাত্র একমাস বাকি দুর্গাপুজোর। কেনাকাটার ভিড় জমবে ছুটির দিন এ রবিবার। এ আশায় বসে বিক্রেতারা। ক্রেতারাও প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই বাজারে বাজারে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। ভিড় যত বাড়ছে ততই চওড়া হচ্ছে বিক্রেতাদের হাসি। হাল ফ্যাশানের জামা কিনে খুশি ক্রেতারাও। কেনাকাটার ফাঁকে চলল দেদার খানা-পিনা। জামাকাপড়ের ব্যাগ হাতে একের পর এক সেলফির বন্যা বয়ে গেল রাজপথে।

বড়বাজার থেকে হাতিবাগান বা গড়িয়াহাট থেকে ধর্মতলা চত্বর— শুক্রবার দুপুর থেকেই চলল দেদার পুজো শপিং। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ পেয়ে গিয়েছেন পুজো বোনাস। তাই আজ শনিবার ‘হাফ ছুটি’র আমেজে বা আগামী কালের গোটা ছুটির দিনে কেনাকাটার জন্য পথে নামবে বাঙালির একটা বড় অংশ, আশায় আছেন বিক্রেতারা।

কথা হচ্ছিল বড়বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী সঞ্জয় সাহার সঙ্গে। পাইকারির পাশাপাশি খুচরো বাজারও ধরেন তিনি। বললেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর থেকেই কিন্তু দোকানে পুজোর চেনা ছবি দেখছি আমরা। বহু মানুষ আসছেন, জিনিস দেখছেন, কিনছেনও। দুপুরের দিকে ভিড় এতটাই জমাটি ছিল, মানুষ পথ চলতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন। সেই একই বার্তা এল এলাকায় কর্মরত পুলিস কর্মীদের কাছ থেকেও। তাঁরাও জানালেন, দিন দু’য়েক ধরে সকাল সকাল মানুষ চলে আসছেন বড়বাজারে।

সালোয়ার কামিজ এবং শাড়ি কেনার পর্ব একপ্রস্থ সারা হয়ে গিয়েছে উত্তরপাড়া থেকে মেঘলা রায়ের। ধর্মতলায় হগ মার্কেটের সামনের ফুটপাতে যে ব্যবসায়ীরা চুড়ি, হার, দুলের পসরা নিয়ে বসেন, তাঁদের কাছে তিনি খোঁজ করতে এসেছিলেন গয়নার। বছর দু’য়েক ধরে লম্বা হারে দুর্গার মুখের লকেট কিনছেন মহিলারা। তেমনই একটি হার কেনার টার্গেট নিয়ে এসেছিলেন মেখলা। একটু ঘোরাঘুরির পর পেয়েও গেলেন। হলুদ রঙের দুর্গার মুখের চারপাশে কড়ি দিয়ে সাজানো বাহারি লকেট। তিনি বললেন, জানতাম, কোথাও না পেলেও, এখানে পাব। পেয়েও গেলাম!

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Dharmatala, #Shopping

আরো দেখুন