কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নিমেষেই তৈরি করা হচ্ছে নগ্ন ছবি! ব্ল্যাকমেলের নতুন অস্ত্র প্রতারকদের হাতে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিজ্ঞান আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? এ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা অন্তহীন। আর যতদিন যাচ্ছে, ততই জোরালো হচ্ছে এই প্রশ্ন। ভেবে দেখুন, যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনায়াসে নানা সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে, সেই প্রযুক্তিকেই অত্যন্ত খারাপ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার জেরে চরম বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নিমেষেই তৈরি করা হচ্ছে নগ্ন ছবি। তারপর তা দেখিয়ে দিনের পর দিন চলছে হুমকি। এমনটা কিন্তু প্রথম নয়। তবে এবার ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। কিছুদিন আগে ঋষভ নামের এক ব্যক্তি লোন অ্যাপের মাধ্যমে লোন নিয়েছিলেন। সেখানে মাত্র একটি ক্লিকেই লোন দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি।
এর আগে থেকেই তাঁর অনেক টাকার লোনের বোঝা ছিল, যাতে সেগুলো দিয়ে দিতে পারে, তাই ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপের মাধ্যমে লোন নিতে গিয়েছিলেন। এমনকী পেয়েও গিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। তারপরে তা যখন মেটানোর কথা আসে, তখনই শুরু হয় আসল সমস্যা। বারবার ফোন করা হয় ঋষভকে। একদিন সকালে ফোন করে বলা হয়, ‘আপনি যদি একদিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দেন, তাহলে আপনার সঙ্গে এমন কিছু ঘটবে, যা আপনি ভাবতেও পারবেন না।’ আর ঠিক তেমনটাই হয়েছিল। কারণ খুব স্বাভাবিকভাবেই একদিনে ঋষভ টাকা ফেরত দিতে পারেনি।
পরের দিন সকাল বেলা ঋষভ তার বন্ধুদের ডাকে। ঠিক সেই সময়ই পাশের ঘর থেকে তার স্ত্রী সেফালির চিৎকারের শব্দ পাওয়া যায়। ফোনে একটি ফটো এসেছে। তার স্ত্রীয়ের নগ্ন ছবি। এমন কোনও ছবিই তোলেনি তাঁর স্ত্রী। তারপরেও ছবিটি দেখতে একেবারে আসলের মতোই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। কিন্তু এমনটা কীভাবে সম্ভব? যে কোনও ছবিকেই কি নগ্ন করে দেওয়া যায়? উত্তর হল ‘হ্যাঁ’। ঋষভের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ‘ন্যুডিফাই’ অ্যাপের। যাতে যে কোনও মানুষের ছবি দিয়েই, নগ্ন ছবি বানিয়ে ফেলা যায়। আর সেই কাজ করে এআই।