কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

পুজোয় গড়িয়াহাটে এলে জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে বা সাতমহলার অন্তঃপুরে ঢুকে হয়ে পড়তে পারেন আবেগপ্রবণ

September 24, 2024 | < 1 min read


নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রথযাত্রা হোক বা উল্টো রথ, সময় পেলেই পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে যেতেন একডালিয়া ক্লাবের প্রাণ পুরুষ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ তিনি ইহলোক ছেড়ে অনেক দূরে। তবু পুরীর সঙ্গে সম্পর্কের ছবিটা দুর্গাপুজোর আঙ্গিকে প্রাণচঞ্চল করার উদ্যেগ নিয়েছেন সুব্রতর উত্তরসূরিরা। ৮২তম বছরে এবার একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে এলে চোখে পড়বে প্রায় ৯৫ ফুট উচ্চতায় জগন্নাথ ধাম। দীর্ঘ তিন মাস ধরে মণ্ডপ সজ্জার কাজ করছে খেজুরির একটি ডেকরেটার্স। ক্লাব প্রাঙ্গণে চোখে পড়েছে ২০-২২ জন‌ নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দর্শনার্থীদের সামনে পুরীর মন্দিরের অবয়বকে তুলে ধরতে। প্রতিমা চিরন্তন সাবেকিয়ানা। দর্শকের হাত কপালে ছুঁয়ে বুকে ঠেকতে বাধ্য।‌ তবে মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমার চালচিত্রে পুরীর ছোঁয়া। থাকছে পুরীর মন্দির এবং জগন্নাথ, বললাম, শুভদ্রার কোলাজ। এ পুজোর সাধারণ সম্পাদক স্বপন‌ মহাপাত্র বলেন, ‘স্পনসরশিপের পথে আমরা কোনওদিনই হাঁটিনি। রাস্তার মোড়ে মোড়ে হোর্ডিং দিই না। দর্শনার্থীরা আমাদের পুজোয় আসেন আবেগের টানে।’

বাঙালির নস্টালজিক এই আবেগই পুঁজি সিংহি পার্কের। ৮৩তম বর্ষে এবার তাদের নিবেদন ‘সাতমহলার অন্তঃপুরে’। বর্ধিষ্ণু, জমিদার বাড়িতে সেই আমলে‌ দুর্গোৎসবের সূচনা, যা এখন বারোয়ারি পুজোয় পরিণত। দু’টি সময়ের প্রেক্ষাপট এক কোলাজে তুলে ধরেছেন সুদীপ্ত মাইতি। আবহ সঙ্গীতে পণ্ডিত শুভেন চট্টোপাধ্যায়। প্রতিমার রূপদানে প্রদীপ রুদ্র পাল। মণ্ডপে আলো-অন্ধকারের একটি মিশেল ভেসে আসবে পুরনো দিনের আবহ সঙ্গীত। ধরা দেবে আরাম কেদারা, পুরনো ড্রেসিং-টেবিল, আলমারি।‌ আবার মণ্ডপে চিত্রিত সিঁড়িগুলি বলে দেবে মানুষের জীবনের সঙ্গে ওঠানামা শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্যান্ডেলের ভিতরের কাজ বেতের তৈরি। প্রায় ৪০ জন কারিগর দু’বেলা কাজ করে চলেছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#jagannath temple, #Gariahat, #Durga Puja 2024, #durga puja

আরো দেখুন