সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর জোড়-বিজোড় রীতি জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চন্দননগরের হাটখোলার অমৃতলাল সেন একদা ব্যবসার তাগিদে পাকাপাকিভাবে দমদমে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁর স্বপ্নে আসেন মা দুর্গা। তারপর অমৃতলাল ১৯১৪ সালে দুর্গাপুজোর সূচনা করলেন দমদমে। পরবর্তীতে সেন বংশের সন্তান উপেন্দ্রনাথ দমদম ছেড়ে চন্দননগরে ফিরলেন। দুর্গাপুজো নিয়ে দমদম ও চন্দননগরের সদস্যদের মধ্যে শুরু হল টানাপোড়েন। দুর্গার নামে বিস্তর বিষয়সম্পত্তি রয়েছে। শেষে ঠিক হয়, বিজোড় বছর চন্দননগরে ও জোড় বছর দমদমের সেনবাড়িতে দুর্গার পুজো হবে। যাঁরা যে বছর পুজো করবেন তাঁরা ঠাকুরের সম্পত্তি থেকে আয়ের টাকা পাবেন।
সেনবাড়ির দুর্গা সপরিবারে আসেন, চারপাশে থাকে ছেলেমেয়ে, তিনি শিবের কোলে বসেন। পদতলে থাকে ছোট একটি মহিষ। দেবী অভয়া মূর্তিতে ১১৪ বছর ধরে পূজিতা হচ্ছেন দমদম ক্যান্টনমেন্ট লাগোয়া সেনবাড়িতে। দুর্গার ভোগ নিরামিষ। দশমীতে মাছভাত খেয়ে বিসর্জনের আগে ঠাকুর বরণ করেন গৃহবধূরা।
জাগ্রত ঠাকুরের কাছে করা মানত পূরণ হলে ধুনো জ্বালান বহু ভক্ত। বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। নৈবেদ্য ও শীতল ভোগ থাকে। ভোগে লুচি, সুজি, মিষ্টান্ন সহ নানা ধরনের ফল থাকে। সপ্তমীতে ২৬টি থালায় সাজানো হয়। অষ্টমীতে ২৪ থালা ও নবমীতে ১০ কেজি চাল দিয়ে থালা সাজানো হয়। অষ্টমীতে হয় কুমারী পুজো। পুজোয় ধুনো জ্বালানোর রীতি বেশ জনপ্রিয়। আশপাশের বহু মানুষ ধুনো পোড়াতে আসেন। সেনবাড়ির কুললক্ষ্মীকে সপ্তমীর দিন দুর্গা দালানে নিয়ে এসে দুর্গার সঙ্গে পুজো করা হয়।