আরজি করের প্রতিবাদের মধ্যেই গান, কবিতার অনুষ্ঠানে বিতর্ক! কী জবাব শ্রীজাতর?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কবিতা ও গানে সাজানো ‘বারিশ’ নামে এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন হয়েছিল শহরে। তখন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। তিন দিন ধরে চলা অনুষ্ঠানকে ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি। সামিল হয়েছিলেন সঙ্গীত শিল্পী ও বাচিক শিল্পীরাও। অনুষ্ঠানের ভাবনা ছিল শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার বিতর্কের জবাব দিলেন খোদ শ্রীজাত।
ফেসবুকে শ্রীজাত লেখেন, “বারিশ-এর স্বপ্ন যখন দেখতে শুরু করি, তখনও কলকাতার আকাশে মেঘ জমেনি, পথে পথে নামেনি মিছিল। আর পাঁচটা স্বাভাবিক বছরের মতোই এগোচ্ছিল সময়। লেখালেখির পাশাপাশি একেবারে আনকোরা কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করাটাও আমার একরকমের নেশা। তাই নতুন নতুন কাজে জড়িয়ে পড়েছি বারেবারে। কখনও আর-কারও ডাকে সাড়া দিয়ে, কখনও নিজেরই ডাকে। বারিশ ছিল আমার অনেকদিনের ডাক, নিজের প্রতি। সাড়া দিতে একটু দেরি হলো, এই যা।”
আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ দিলীপের
বিদ্রূপ করা নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, “ইদানীং এমন হয়েছে যে, বাঁকা কথা না-শুনলে ঠিক বুঝতেও পারি না, সোজা পথে আছি কিনা। কলকাতা বারিশ ঘোষিত হবার পর থেকে আজ অবধি তাকে ঘিরে যা যা বেকার ছলনাময় কটূক্তি চোখে পড়েছে, যেসব অপটু কুযুক্তির খেলনা চক্রব্যূহে তাকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে, যে-সমস্ত অকর্মণ্য আলস্যময় ট্রোলার্ণবেরা হাতে দেদার সময় পেয়ে খুঁতের অগ্রিম বুকিং চালিয়েছেন, তাতে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, বেশ করছি। এবং আবার করব।”
ঝাঁঝ বাড়িয়ে তিনি আরও লেখেন, “বাঙালিদের মধ্যে কিছু মানুষ চিরকালই কাজ করে, বাকিরা জাজ করে। তবে হাতে-কলমে যাচাই না-ক’রে খোঁটা দেবার এই ব্যাপারটাকে আমি দুর্বলের লক্ষণ বলেই মনে করি। তাই জানাই, এ-বছর যেহেতু প্রচুর মানুষ টিকিট না-পেয়ে ফিরে গেছেন, তাই সামনের বছর থেকে কলকাতায় বারিশ আরও বড় কোনও প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হবে, আরও বড় আকারেই।”